২০২৩ সালের শেষ অথবা ২০২৪ সালের শুরুতে হতে পারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি শুরু করেছে। তারা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচনের কথা বলছে। এর বিরোধিতা করছে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি। তারা বলছে, ইভিএমে কারচুপির সুযোগ রয়েছে। শিগগির এর ‘ত্রুটি’ জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।
সম্প্রতি ইভিএম ইস্যুতে প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাদের মধ্যে ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম কায়কোবাদ। তারা ইভিএমের বিষয়টি দেখে আশ্বস্ত হয়েছেন।
জাফর ইকবাল বলেছেন, এটা অত্যন্ত চমৎকার মেশিন। এখানে ম্যানিপুলেশন (কারচুপি) করার জায়গা নেই। তবে একটি মেশিনকে কখনোই শতভাগ বিশ্বাস করা উচিত হবে না। এদিকে বিএনপি বলছে ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, ইভিএমে যেভাবে প্রোগ্রামিং দেওয়া হবে সেভাবে কাজ করবে। কেউ যদি এটাকে অসৎ উপায়ে ব্যবহার করতে চায় তাহলে তা করতে পারবে।
ইভিএম নিয়ে জাফর ইকবালের মন্তব্যের বিষয়ে বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী রিয়াজুল রিজু জাগো নিউজকে বলেন, জাফর ইকবাল সাহেব একজন শিক্ষাবিদ। উনার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইমেজ আছে। কিন্তু উনি যে এ ধরনের কথা বলতে পারেন এটা অবিশ্বাস্য। কারণ উনি বলেছেন, এটাকে (ইভিএম) ভার্চুয়ালি ডাইভার্ট করা যাবে না। এটা তো হার্ডওয়ারের ব্যাপার না সফটওয়্যারের ব্যাপার। এখানে আপনি যেভাবে প্রোগ্রামিং দেবেন সেভাবে কাজ করবে। আর এটা চালাবে তো মানুষ। তারা যদি এটাকে ভালো কাজে ব্যবহার করে তাহলে ভালো। যদি অসৎ উপায়ে ব্যবহার করে তাহলে অসৎ হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরাও কাজ করছি। আমি ইভিএম বানিয়ে দেখিয়ে দেবো জাফর ইকবাল সাহেবকে, যেখানে আপনি যা ইচ্ছা তাই করতে পারবেন। এখানে আপনি একজনকে ভোট দেবেন, কিন্তু ভোট চলে যাবে অন্যজনের কাছে। এটা আমরা কোরবানির ঈদের পর জাতির সামনে তুলে ধরবো।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, জাফর ইকবাল সাহেব আওয়ামী লীগারদের চেয়ে দুইশ ভাগ এগিয়ে। উনি যেদিন ইভিএম নিয়ে কথা বলেছেন, সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন। একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে তাতে উনার দুঃখ প্রকাশ করা উচিত ছিল, চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তিনি তা না করে নির্বাচন কমিশনকে সার্টিফিকেট দিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, আমরা ইভিএম নিয়ে চিন্তা করছি না। যারা ব্যক্তিগত মতামত দিতে পারেন তারা দিচ্ছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনের কোনো কথা নিয়ে কথা বলছিও না, শুনতেও চাই না।