ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে হুঁশিয়ার করে বলেন, আগুন নিয়ে খেললে পরিণতি ভয়াবহ হবে । বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, আগুন নিয়ে যদি খেলেন পরিণতি হবে ভয়াবহ। পরিস্কার বলে দিতে চাই, শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিবেন আর আওয়ামী লীগ কি বসে থাকবে?’ মঙ্গলবার রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কি রাজপথ কাউকে ইজারা দিয়েছে? আওয়ামী লীগ রাজপথ থেকে এসেছে, রাজপথেই আছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, আমাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা, আমাদের নেত্রীকে অপমান, নেত্রীকে হত্যার হুমকি। আজকে আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস, আমরা জবাব দেবো রাজপথে। সেজন্য প্রস্তুত হতে নেত্রীর নির্দেশে এই সভা ডেকেছি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ছাত্রদলকে দিয়েই নাকি আন্দোলন শুরু করিয়েছে ক্যাম্পাস থেকে। আমরাও দেখবো, কত ধানে কত চাল। সব কিছুর একটা শেষ আছে। বাড়াবাড়ি ভালো নয়।’ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়া হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা পদ্মা সেতু নিয়ে কত বিদ্রুপ, ঠাট্টা করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, পদ্মা সেতুতে উঠবেন না, পড়ে যাবেন। আজ শেখ হাসিনার হিমালয় সমান দৃঢ়তার কারণে পদ্মা সেতু হয়েছে। এখন তাদের বুকে বিষ জ্বালা ধরেছে।’
ওবায়দুল কাদেরের সূচনা বক্তব্যের পর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের যৌথ সভা শুরু হয়।
জানা গেছে, সভায় আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন, ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের কার্যক্রম এবং মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন সমূহকে নির্দেশনা দেয়া হবে।
যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, আহমদ হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজীত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সভায় আওয়ামী মহিলা লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও মৎস্যজীবী লীগ, ছাত্রলীগ ও জাতীয় শ্রমিক লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।