স্ত্রীকে হত্যা করে ২৬ বছর পালিয়েছিলেন আব্দুল আজিজ (৫০)। এ সময় আরেকটি বিয়েও করেন। সে পক্ষে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি আব্দুল আজিজের। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৫ মে) বিকেলে টাঙ্গাইল জেলা সদরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক হেলাল উদ্দিন কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতের পরিদর্শক প্রসুন কান্তি দাস আসামিকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আব্দুল আজিজ উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের নামাপাড়া গ্রামের আহাদ আলীর ছেল।
ফুলবাড়িয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক জাগো নিউজকে জানান, ১৯৯৬ সালের ৮ জুলাই উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের নামাপাড়া গ্রামে পারিবারিক বিরোধে আব্দুল আজিজ তার স্ত্রীকে হত্যা করেন। ঘটনার পর তাকে আসামি করে ফুলবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন তিনি। পরে ওই মামলায় আব্দুল আজিজকে যাবজ্জীবন সাজা দেন আদালত।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে আদালত আব্দুল আজিজকে গ্রেফতারে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। এরপর থেকে তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা করে আসছিল পুলিশ। সম্প্রতি জানা যায়, আব্দুল আজিজ টাঙ্গাইল জেলা সদরের বেবিস্ট্যান্ড হরিয়া এলাকা বসবাস করছেন। সংবাদ পেয়ে বুধবার বিকেলে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আব্দুল আজিজের বরাত দিয়ে এসআই আরও বলেন, ‘তিনি ওইখানে ভাঙারির ব্যবসা করতেন। নিজের পরিচয় গোপন করে বিয়ে করেছিলেন। সেখানে তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।’
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, আব্দুল আজিজ তার স্ত্রীকে হত্যা করে ২৬ বছর পালিয়েছিলেন। ওয়ারেন্ট ইস্যুর পর তাকে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।