চেলসিতে থিবো কোর্তোয়ার সময়টা যেভাবে শেষ হয়েছে, তা নিয়ে ইংল্যান্ডে অসন্তোষ আছে বেশ। সেটা রীতিমতো ক্ষোভে পরিণত হলো যখন ফাইনালের আগে তিনি বললেন, রিয়াল মাদ্রিদ ফাইনালে খেলে জেতার জন্যই। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো তুলোধুনো করা হয়েছে তাকে।
তবে সেসব তিনি আমলে নেননি। ফাইনালে তিনি দেখিয়েছেন গোলরক্ষণের ধ্রুপদী প্রদর্শনী। পুরো ম্যাচে করেছেন ৯টি সেভ, ইতিহাসে কোনো ফাইনালে কোনো শিরোপাজয়ী দলের গোলরক্ষকের এতগুলো শট ঠেকাতে হয়নি। তাতেই রিয়াল মাদ্রিদের শিরোপা জেতার পথটা তৈরি হয়ে গেছে। ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও জিতেছেন তিনিই। এরপরই তিনি বললেন, নিজের প্রাপ্য সম্মানটা আদায় করতেই এমন পারফর্ম করতে হয়েছে তাকে।
৩০ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক চেলতিতে খেলেছেন প্রায় সাত বছর। তবে শেষ দিকে রিয়ালের সঙ্গে যখন কথা চলছে তখন তিনি প্রাক মৌসুম অনুশীলনে যাননি, তাতেই তোপের শিকার হতে হয় ইংলিশ সমর্থকদের। এরপর ম্যাচের আগে তার কথাটা সেই ঘৃণার আগুনে ঘি ঢেলেছিল। কোর্তোয়া জানালেন, নিজের নামের সম্মান রাখার জন্য হলেও এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগটা জেতা প্রয়োজন ছিল তার।
তিনি বলেন, ‘আমি কাল সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, যখন রিয়াল মাদ্রিদ ফাইনালে খেলে, জেতার জন্যই খেলতে নামে। আমার আরও নম্র হওয়া উচিত ছিল এমন কথা যুক্ত করে টুইট দেখেছি। কিন্তু বিষয়টা পুরো উল্টো।’
তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক। তবে বড় কিছু না জিতলে তার প্রমাণ কোথায়? সেটা প্রমাণেই গত রাতে তিনি দিয়েছেন এমন পারফর্ম্যান্স। কোর্তোয়ার ভাষ্য, ‘আজ আমার একটা ফাইনাল জিততে হতো-আমার ক্যারিয়ারের জন্য, যে কঠোর পরিশ্রম আমি করেছি, আমার নামের সম্মান রক্ষার জন্য… কারণ আমি মনে করি, আমাকে প্রাপ্য সম্মানটা দেওয়া হয় না। বিশেষ করে ইংল্যান্ডে। আমি মোটেও ভালো নই, এমন সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল আমাদের। ’
তবে গত রাতের পারফর্ম্যান্সের পর কোর্তোয়া জানালেন, তার পারফর্ম্যান্সই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে ম্যাচের। তিনি বলেন, ‘আমি খুবই খুশি, আমার দলের পারফর্ম্যান্সে আমি বেশ গর্বিত। আর যখন আমার দলের প্রয়োজন পড়েছে আমার, তখনই আমি সাড়া দিয়েছি। আমরা বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবকে দলীয় চেষ্টায় হারিয়েছি। লিভারপুল আজ বেশ শক্তিশালী ছিল। আমার মনে হয়েছে আমি দারুণ একটা ম্যাচ খেলেছি, আর সেটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’