দেশের অন্যতম মেডিকেল কলেজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়েছে। সোমবার (২৩ মে) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. আসিফ ওয়াহিদের বরাত দিয়ে সর্বপ্রথম এমন গুজব ছড়ানো হয়। এরপর বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিষয়টি ছড়িয়ে যায়।
তবে বিষয়টিকে গুজব উল্লেখ করে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো একটি পক্ষ এমন গুজব ছড়িয়েছে।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো মাঙ্কিপক্স রোগী পাওয়া যায়নি। কে বা কারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই গুজব ছড়িয়েছে।
তিনি বলেন, মাঙ্কিপক্স রোগ নিয়ে এতো দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। আমরা আগামী বৃহস্পতিবার মাঙ্কিপক্স নিয়ে সেমিনার করব, সেখানে এই রোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
এদিকে, মাঙ্কিপক্স নিয়ে ছড়িয়ে পড়া পোস্ট প্রসঙ্গে ডা. আসিফ ওয়াহিদ বলেন, আমার নামে মাঙ্কিপক্স নিয়ে যেই পোস্ট দেওয়া হয়েছে, সেটি আমার আইডি থেকে নয়। সুতরাং এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
বিএসএমএমইউ সূত্রে জানা গেছে, ডা. আসিফ ওয়াহিদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের চলতি বছর মার্চের ভর্তিকৃত রেসিডেন্ট। তিনি ৩৯ বিসিএসএসের স্বাস্থ্যক্যাডার কর্মকর্তা।
অন্যদিকে ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রতিরোধে গত শনিবার (২১ মে) দেশের প্রতিটি বন্দরে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সেদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, এয়ারপোর্ট, ল্যান্ড পোর্টসহ সমস্ত পোস্টগুলোকে আমরা সতর্ক থাকতে বলেছি। সন্দেহভাজন কেউ এলে যেন তাকে চিহ্নিত করা যায় এবং অতিদ্রুত যেন তাকে সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নাজমুল ইসলাম বলেন, মাঙ্কিপক্স নিয়ে আমাদের এতো আতঙ্কিত হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা ভাইরাসটির সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা সারাবিশ্ব থেকেই তথ্য-উপাত্ত নেব এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার সেটি আমরা নেব।