ধনঞ্জয় ডি সিলভা বলেছিলেন, ‘ঢাকায় অবশ্যই তিন স্পিনার ও এক পেসার খেলবে।’ মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অতীত ইতিহাস বিবেচনা করেই মূলত এমনটা বলেছিলেন লঙ্কান তারকা অলরাউন্ডার। তার সঙ্গে সায় দিলেন হেড কোচ ক্রিস সিলভারউডও।
তবে সিলভারউড সরাসরি জানাননি মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে কতজন পেসার বা স্পিনার খেলবে। এরই মধ্যে ১২ জনের দল সাজিয়েছেন তারা। সেখান থেকে মিরপুরের অতীত ইতিহাস ও পরিসংখ্যানের ওপর নজর দিয়েই একাদশ সাজানোর কথা জানিয়েছেন সিলভারউড। যা মূলত ধনঞ্জয়ের বলা কথাকেই সমর্থন করে।
ম্যাচের আগের দিন লঙ্কানদের হেড কোচ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা সব মাঠের পরিসংখ্যান নিয়ে আলোচনা করি। দেখার চেষ্টা করি আগের ম্যাচগুলোতে ফলাফল কী হয়েছে, সেসব ম্যাচে বোলিং আক্রমণ ও ব্যাটিং লাইনআপ কেমন ছিল। আমরা ইতিহাস দেখি, তারপর একাদশ সাজাই। আমরা এরই মধ্যে ১২ জনের দল সাজিয়েছি।’
একাদশে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের একাদশ থেকে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিসংখ্যান দেখার পর আমরা দল বাছাই করবো যে একজন সিমার নিয়ে খেলবো কি না। অথবা ঠিক কোন পরিকল্পনায় এগোবো। আমরা এটুকু নিশ্চিত করবো যে অধিনায়কের হাতে যেনো যথেষ্ট অপশন থাকে।’
এখন পর্যন্ত মিরপুরে খেলা হয়েছে ২২টি টেস্ট ম্যাচ। এর মধ্যে ফল এসেছে ১৯টিতে আর ড্র হয়েছে মাত্র তিনটি টেস্ট। ইতিহাসগতভাবেই মিরপুরের উইকেটে স্পিনারদের জন্য থাকে বাড়তি সাহায্য। যে কারণে এই মাঠে মাত্র একজন পেসার নিয়ে খেলার নজিরও আছে অনেক।
অতীত পরিসংখ্যানও কথা বলে স্পিনারদের পক্ষে। মিরপুরে স্পিনাররা এখন পর্যন্ত বোলিং করেছেন সাড়ে ৬ হাজার ওভারের বেশি। সেখানে পেসাররা হাত ঘোরাতে পেরেছেন মাত্র আড়াই হাজার ওভারের কিছু বেশি। স্বাভাবিকভাবে উইকেট শিকারেও স্পিনারদের আধিক্য। তারা নিয়েছে ৪০৩টি উইকেট, বিপরীতে পেসারদের শিকার ২৪৩ জন ব্যাটার।