বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। শুক্রবার (২০ মে) ব্রাসেলসে বাংলাদেশ-ইইউর দশম যৌথ কমিশন বৈঠকে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে ইইউ। দিনব্যাপী বৈঠকে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার, রোহিঙ্গা সংকট, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, শিক্ষা, আঞ্চলিক রাজনীতি, নিরাপত্তা পরিস্থিতি, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং জাতিসংঘ ফোরামের মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া উভয়পক্ষ সংখ্যালঘুদের অধিকারের অগ্রগতি, নারী ও শিশুদের অধিকার এবং বহুপাক্ষিক ফোরামে মানবাধিকারের বিষয়ে সম্পৃক্ততার বিষয়ে নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে।
ইইউ কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে কোনো ডিজিটাল অপরাধের লাগাম টানার ক্ষেত্রেও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে বাংলাদেশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে চূড়ান্ত পদক্ষেপেও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা তথা সঙ্গতিপূর্ণ আচরণ জরুরি। বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) নিবর্তনমূলক ধারাগুলো এখনও বিলুপ্ত বা সংশোধন না করা উদ্বেগের বিষয়। জাতি, বয়স, লিঙ্গ পরিচয়, যৌন অভিমুখিতা, ধর্মীয় বা রাজনৈতিক সম্বন্ধ, অক্ষমতা বা আর্থ-সামাজিক পটভূমি, সুরক্ষা স্থিতিশীলতা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ইইউ’র দশম যৌথ কমিশন বৈঠকে উভয়পক্ষ রাজনৈতিক অগ্রগতির পর্যালোচনায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের গুরুত্বসহ গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও সুশাসনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, পাবলিক ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট, ন্যায়বিচার, সামাজিক সুরক্ষা এবং জলবায়ু প্রভৃতি বিষয়ে উভয় পক্ষ নীতি সংস্কারের অগ্রগতির বিষয়ে মতবিনিময় করেছে। এ সময় ঢাকার পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকার সংবিধানে বর্ণিত সকলের মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সন্ত্রাস ও সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ রয়েছে।