১৩ হাজারের বেশি কোভিড-নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া মানুষকে রাতারাতি কোয়ারেন্টাইন হোটেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। করোনা ঠেকাতে সম্প্রতি বাণিজ্যিক হাব সাংহাইয়ে চরম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে বেইজিং।
জানা গেছে, সম্প্রতি ২৬ জনের নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দক্ষিণ-পূর্ব বেইজিংয়ের নানজিনুয়ান আবাসিক কম্পাউন্ডের ১৩ হাজার মানুষকে শুক্রবার দ্রুত কোয়ারেন্টাইন হোটেলে রাখা হয়। ২১ মে মধ্যরাত থেকে সাত দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন ওই এলাকার মানুষরা, এমনটাই জানায় চাওইয়াং জেলার কর্তৃপক্ষ। তারা আরও জানিয়েছে, ‘অনুগ্রহ করে সহযোগিতা করুন, অন্যথায় আপনি আইনের আওতায় আসবেন।’
মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে বেইজিং তার সবচেয়ে খারাপ প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে লড়াই করছে। গত এপ্রিলের শেষ সময় পর্যন্ত ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হন ১৩শ জনের বেশি মানুষ। সাংহাইয়ে শহরের প্রধান রেস্তোরাঁ, স্কুল এবং পর্যটনকেন্দ্রগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
একজন বাসিন্দা চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবোতে জানান, গত ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু ২৮ দিনের লকডাউনের মধ্যে তাদের অনেকেই রয়েছেন। জিরো কোভিড পলিসি অর্জনের জন্য চীনের কৌশলের মধ্যে রয়েছে কঠোর সীমান্ত বন্ধ, দীর্ঘ কোয়ারেন্টাইন, গণপরীক্ষা এবং দ্রুত লকডাউন ব্যবস্থা।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। সেখান থেকেই আজ গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়েছে। যদিও করোনার প্রকৃত উৎস কোথায় তা নিয়ে এখনো সংশয় রয়েছে।
২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। কয়েক বছরে করোনা বারবার ধরন বদলে আবারও সংক্রমণ ঘটাচ্ছে।