রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-সরকারি এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল ব্যয়ের মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সোমবার (১৬ মে) এ বিষয়ে এক পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ মে) অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা-৬ অধিশাখা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদেশ সফরে নিষিদ্ধ করে পরিপত্র জারি করে। করোনার সময়েও কিছুদিন সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত রাখা হয়।
এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব প্রকার এক্সপোজার ভিজিট, স্টাডি ট্যুর ও ইনোভেশনের আওতাভুক্ত ভ্রমণ এবং ওয়ার্কশপ, সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব প্রকার বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। এ আদেশ উন্নয়ন বাজেট ও পরিচালন বাজেট উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং কার্যকর হবে।
এর আগে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সরকার অহেতুক ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেওয়ার পরও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ সফর বেড়ে গেছে। এ জন্য এখন থেকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বিদেশ সফরে যেতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রীও পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন, যদি কোনো প্রয়োজন না থাকে তাহলে বিদেশ সফর নয়। তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ ও কম গুরুত্বপূর্ণ আমদানিনির্ভর প্রকল্পের বাস্তবায়ন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।