ভারতীয় চলচ্চিত্র মানেই ছিল বলিউডের হিন্দি সিনেমা। এই উপমহাদেশের মানুষ ছবি বলতে হিন্দি সিনেমাকেই প্রাধান্য দিতো। কিন্তু এখন দক্ষিণী সিনেমার জয়জয়কার। মানুষের মুখে মুখে ‘কেজিএফ’, ‘আরআরআর’, ‘পুষ্পা’র মতো ছবির নাম। ফলে বলিউডে এক ধরনের অশনি সংকেতের আভাস। এ অবস্থায় বলিউডে অনেক পরিচালকই দক্ষিণী তারকার ওপর ভরসা রাখছেন। এ ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে পারিশ্রমিক নিয়ে দ্বন্দ্ব।
যেমনটি বললেন তেলেগু সুপারস্টার মহেশ বাবু। তিনি নাকি বলিউডে কাজের অফার পেলে তাতে রাজি হবেন না। কারণ, বলিউড নাকি উপযুক্ত পারিশ্রমিক তাকে দিতে পারবে না। যদিও পরে এই ভোল পাল্টে ভিন্ন কথা বলেছেন মহেশ বাবু! তিনি বলিউড হাঙ্গামাকে বলেছেন, আগের কথাগুলো আমি যেভাবে বলেছি, সেভাবে উপস্থাপন হয়নি। প্রস্তাব পেলে আমি হিন্দি সিনেমায়ও কাজ করবো। ইচ্ছা একদম যে নেই, তেমনটা নয়।
এবার দেখে নেওয়া যাক আসলে বলিউডে কোন তারকার পারিশ্রমিক কত। ভারতের সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন এ ধরনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সেখানে বলা হয়, শাহরুখ, সালমান ও আমির খান বর্তমানে আর পারিশ্রমিক নেন না। তারা লভ্যাংশের ভিত্তিতে কাজ করেন। হৃতিক রোশনও লভ্যাংশের বিনিময়ে করেন চুক্তি সই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বলিউডের অক্ষয় কুমার একটি ছবির জন্য ১৩৫ কোটি টাকা পেয়েছেন। অক্ষয়ের পরই রয়েছেন রণবীর কাপুর। তার ছবি পিছু আয় ৭০ কোটি টাকা।
অপরদিকে রণবীর সিং একটি ছবির জন্য ৫০ কোটি টাকা পান। অ্যাকশন স্টার টাইগার শ্রফ ছবি পিছু পারিশ্রমিক ৫০ কোটি টাকা নেন। বরুণ ধাওয়ান প্রত্যেক ছবির জন্য নেন ৩৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক। শাহিদ কাপুর একটি ছবির জন্য ৩০ কোটি টাকা নেন।
অপরদিকে দক্ষিণী তারকা প্রভাস, রামচরণ, এনটিআর জুনিয়র, যশদের পারিশ্রমিকও কম নয়।
দাক্ষিণাত্যের রজনীকান্ত প্রতি ছবির জন্য ১০০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন। ‘বাহুবলী’র আগে যে প্রভাসের আয় ছিল ৭ কোটি টাকা তিনি নাকি এখন একটি ছবির জন্য ১০০ কোটি পারিশ্রমিক চেয়েছেন।
আর মহেশ বাবু প্রতি ছবির জন্য ৪৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিতেন। এখন ছবি পিছু ৮০ কোটি টাকা নেন। মালয়ালম সুপারস্টার মোহনলালের আয় ৬৪ কোটি টাকা। এনটিআর জুনিয়র এবং রামচরণ নাকি ‘আরআরআর’ ছবির জন্য ৩৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছেন। ‘পুষ্পা’ সিনেমা খ্যাত তারকা আল্লু অর্জুনের ছবি পিছু আয় ৩৫ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।
‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ২’ সিনেমার জন্য নাকি ২৭-৩০ কোটি টাকা পেয়েছেন কন্নড় তারকা যশ।