এনটিআরসিএ ভুল চাহিদায় সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হবে। চতুর্থ ধাপে আসা স্কুল-কলেজে শূন্য আসনে তাদের নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে জানা গেছে, এনটিআরসিএ তৃতীয় ধাপে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শূন্য থাকা স্কুল-কলেজ, কারিগরি ও মাদরাসায় ৩৬ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। তার মধ্যে সহস্রাধিক শিক্ষক যোগদান করতে পারেননি।
তার মধ্যে এমপিওভুক্তি হিসেবে নিয়োগ পেলেও প্রতিষ্ঠান নন-এমপিও হওয়া, নারীর স্থানে পুরুষ নিয়োগ, প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও পরিচালানা কমিটি প্রার্থীকে যোগদানের সুযোগ না দেওয়া, এক ধর্মের ব্যক্তি ভিন্ন ধর্মে নিয়োগ পাওয়াসহ নানা ধরনের ভুল ও অসঙ্গতি থাকায় এসব প্রার্থী সুপারিশ পেলেও যোগদান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ভুক্তভুগীদের কেউ কেউ এনটিআরসিএতে লিখিতভাবে অভিযোগ দাখিল করেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধানকে শোকজ করে সুপারিশকারী প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষক ফোরামের সমন্বয়ক মো. তৈয়ব হোসেন বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের পক্ষ থেকে ভুল চাহিদা দেওয়া হয়েছে। অনেকের আবার নারী কোটার সমস্যা। প্যাটার্ন যাওয়ার পর দেখা গেছে নারী কোটা পূরণ হয়নি। অন্য বিষয়ের শিক্ষক বিজ্ঞান শিক্ষকের প্যাটার্নে থাকায় ভৌত বিজ্ঞানে সুপারিশপ্রাপ্তদের প্রতিষ্ঠানে এমপিও হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমি জেনারেল শাখায় আবেদন করি। কিন্তু যোগদান করতে গিয়ে দেখি, এটা কারিগরি শাখার পদ। এমন বিভিন্ন কারণে অনেকেই যোগদান করতে পারেননি। অনেকে যোগদান করলেও এমপিও হচ্ছে না।
জানা গেছে, সুপারিশ পাওয়ার পরও সহস্রাধিক প্রার্থী যোগদান করতে পারেননি। তাদের মধ্যে দুই শতাধিক ভুক্তভোগী এনটিআরসিএতে লিখিতভাবে অভিযোগ জমা দিয়েছেন। সেসব অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধানকে শোকজ দেওয়া হয়েছে। তাদের কেউ কেউ শোকজের জবাব দিয়েছেন। তবে মাস পার হলেও অনেকে তার উত্তর দেননি।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান মো. এনামুল কাদের খান জাগো নিউজকে বলেন, ভুল চাহিদাসহ নানা কারণে যেসব প্রার্থী চেষ্টা করেও যোগদান করতে পারেননি তাদের শূন্য আসনে নিয়োগ দেওয়া হবে। চতুর্থ ধাপে শূন্য আসনের তালিকা পাওয়ার পর নিয়োগ বঞ্চিতদের লিখিতভাবে নিয়োগ না পাওয়ার কারণ জানাতে বলা হবে। আবেদনের জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে তাদের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে হবে।
তিনি বলেন, যারা এ সময়ের মধ্যে লিখিতভাবে তথ্য জানাবে, চতুর্থ ধাপে পাওয়া শূন্য আসনে তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রার্থীর নিজ উপজেলা, জেলা বা বিভাগে যেখানে শূন্য আসন থাকবে সেখানে যোগদানের সুযোগ দেওয়া হবে। নিয়োগের জন্য তাদের নতুন করে আবেদন করতে হবে না। পরবর্তী ধাপে ভুল চাহিদা বন্ধ করতে এবার ই-রেজিস্ট্রেশন চালু করা হয়েছে বলেও জানান এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান।