আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিরাপদে সংরক্ষণের জন্য অস্ত্রাগার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের আট বিভাগের চল্লিশ জেলায় নির্মাণ করা হচ্ছে এসব অস্ত্র গুদাম। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্র সংরক্ষণে এসব গুদাম নির্মাণ করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৬৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব গুদাম নির্মাণে সরকারের নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার (১ম পর্যায়ে ৪০টি) নির্মাণ- শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। মঙ্গলবার (১০ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন পেয়েছে। সূত্র জানায়, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি আগামী বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৩০ জুন মেয়াদের মধ্যে শতভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের ৮ বিভাগের ৪০টি জেলায় এসব অস্ত্রাগার নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য বর্ণনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিরাপদে সংরক্ষণের জন্য এসব অস্ত্রাগার নির্মাণ করা হবে।
একনেকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপনের আগে পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জেলা সদরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার নির্মাণের মাধ্যমে বাহিনীর অস্ত্র-গোলাবারুদ সুরক্ষিত থাকবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত অস্ত্র-গোলাবারুদ সংরক্ষণ ও সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে আরও বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ জননিরাপত্তা বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী কর্তৃক সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত “আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার (১ম পর্যায়ে ৪০টি) নির্মাণ” শীর্ষক প্রকল্পটি মোট ৬৪ কোটি ৬৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বাস্তবায়নের জন্য একনেকের অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হলো।
প্রকল্পটি সম্পর্কে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানিয়েছেন, দেশের প্রতিটি জেলায় অস্ত্রসহ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু তাদের অস্ত্র নিরাপদে রাখার সুব্যবস্থা নাই। অনেক সময় অস্ত্র খোয়া যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার এসব অস্ত্রাগার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে জেলা সদরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্র-গোলাবারুদ সুরক্ষিত থাকবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত অস্ত্র-গোলাবারুদ সংরক্ষণ ও সরবরাহ করা সম্ভব হবে।