সাতক্ষীরার শ্যামনগরে যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে প্রার্থনা করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার (২৭ মার্চ) এক টুইট বার্তায় মোদি এ কথা জানান।
এর আগে যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে প্রার্থনা শেষে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আর কয়েক সপ্তাহ পরে চৈত্র নবরাত্রি শুরু হবে। এ পবিত্র সময়ের আগে মা কালীর ৫১টি শক্তিপীঠের একটির চরণে মাথা ঠেকানোর সৌভাগ্য হয়েছে। ২০১৫ সালে যখন বাংলাদেশে এসেছিলাম, তখন মা ঢাকেশ্বরীর চরণে মাথা ঠেকানোর সৌভাগ্য হয়েছিল। আর আজ মা কালীর আশীর্বাদ নেওয়ার সুযোগ হয়েছে।’
মোদি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে মানবজাতি যে সঙ্কটে রয়েছে মা কালীর কাছে প্রার্থনা করেছি সেই সঙ্কট যেন দ্রুত চলে যায়। সবাই যেন সুখে থাকেন। পুরো মানবজাতির জন্য প্রার্থনা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমার যদি সুযোগ থাকে তবে মা কালীর সবগুলো শক্তিপীঠে যাব। আজ আমি এই পবিত্র ভূমিতে এসেছি। আমি শুনেছি, এখানে মা কালীর বড় পূজা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সীমান্তের ওপারের ভক্তরাও যোগ দিয়ে থাকেন। তাই এখানে একটি মাল্টি পারপাস হল থাকা দরকার। যেন কালী পূজার সময় সবার উপকারে আসে। আবার অন্য সময় স্থানীয়দের সামাজিক ও ধর্মীয় বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা এই কমিউনিটি হল দুর্যোগ ও আপদকালীন সময়ে ব্যবহার করা যাবে। বিশেষ করে সাইক্লোনের সময়ে শেল্টার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এজন্য ভারত সরকার এখানে একটি কমিউনিটি হল নির্মাণ করবে। আমি এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাহায্য কামনা করছি।’
এর আগে সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে রওনা দিয়ে ৯টা ৫৫ মিনিটে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অবতরণ করেন মোদি।