সঙ্গীতের ভাষায় সারা বিশ্বের সাইবার জগতকে নিরাপদ করতে চাই উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী বছর (২০২৩ সাল) ইউএনডিপি-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন করা হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ৬ মে নিউইয়র্ক ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিতব্য গোল্ডেন জুবলি বাংলাদেশ কনসার্ট উপলক্ষে প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (০৫ মে) নিউইয়র্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
পাশপাশি আগামী বছর থেকে ইউএনডিপি-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তনের ও ঘোষণা দেন তিনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয় দারিদ্র ও দুর্নীতির লজ্জাবোধের জায়গা থেকে বাংলাদেশ এখন সম্মানজনক অবস্থানে এসেছে। তথ্য প্রযুক্তিকে সবসময় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে পলক বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু ইপিআরের ওয়্যারলেস সিস্টেম প্রযুক্তি করে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাংলাদেশের সর্বত্র পৌঁছে দিয়েছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৯০ শতাংশ মোবাইলফোন দেশেই উৎপাদনের পর তা বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশে ল্যাপটপ তৈরি করছে ওয়ালটন। এখন মেড ইন বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে একটি জনপ্রিয় নাম। অথচ এক সময় আমরা এই ধরনের ইলেকট্রনিক্স বা ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন বা রপ্তানি তো পরের কথা আমদানি করে ব্যবহার করা সম্ভব হতো না। কারণ আমাদের অর্থনীতির সেই সমৃদ্ধি ছিল না। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আজ তলাবিহীন ঝুঁড়ি নয় সম্পদে সমৃদ্ধ ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে।
কনসার্ট বাস্তবায়নকারী সংস্থা হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলর মনিরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল আলম রুহুল, অপারাজিতা হক, এটুআই নীতি উপদেষ্টা আনির চৌধুরী, ডিজিটাল নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক খায়রুল আমিন ও তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজাউল মাকসুদ জাহেদী।