চাঁদপুর জেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, সেলিম খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সেলিম খান সরকারের রাজস্ব আত্মসাৎ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি দেশত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে দুদকের কাছে তথ্য রয়েছে। এমতাবস্থায় অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকার দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ওই আবেদন করেন।
এর আগে ২৬ এপ্রিল দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছিলেন, সেলিম খানের বিরুদ্ধে সরকারের ‘কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাত’র প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সেলিম খানের বিরুদ্ধে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জমি অধিগ্রহণে সরকার নির্ধারিত মৌজা মূল্যের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি মূল্য দেখিয়ে ১৩৯টি উচ্চমূল্যের দলিল কারসাজির মাধ্যমে সরকারের প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা ক্ষতির ষড়যন্ত্রের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া মেঘনা নদীতে প্রায় ২০০ ড্রেজার দিয়ে দিন-রাত নির্বিচারে বালি উত্তোলন ও বিক্রি করে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা লোপাটের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুদকের অভিযানে যে দুর্নীতি উদ্ঘাটিত হয়েছে তার আর্থিক মূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা।
৬ এপ্রিল দুদকের কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম চাঁদপুরে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে জমি অধিগ্রহণ ও বালু উত্তোলন সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা রেজিস্ট্রারসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা ও তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয়। এ বিষয়ে শিগগিরই টিম কমিশনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেবে।