ইউক্রেনকে আরও ১৩০ কোটি ডলার সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে ৮০ কোটি ডলারের অস্ত্র ও দেশটির সরকার পরিচালনার জন্য ৫০ কোটি ডলার নগদ অর্থ রয়েছে। বৃহস্পতিবার পৃথক ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও দেশটির ট্রেজারি বিভাগের মন্ত্রী জ্যানেট ইয়েল্লেন এই ঘোষণা দিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক ভাষণে ইউক্রেনে ৮০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন বাইডেন। তিনি বলেন, এই সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে ভারী অস্ত্রশস্ত্র, ১ লাখ ৪৪ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ ও বেশ কিছু ট্যাকটিক্যাল ড্রোন।
একই দিন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস স্মাইহাল ও অর্থমন্ত্রী সেরহি মারশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন ট্রেজারিমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েল্লেন। বৈঠকে দেশটিকে আরও ৫০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ট্রেজারিমন্ত্রী।
ট্রেজারি বিভাগের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বেতন, অবসরভাতা ও যুদ্ধের কারণে দেশটিতে শুরু হওয়া মানবিক বিপর্যয় রোধে কর্মসূচি পরিচালনাবাবদ এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, এই সহায়তা প্যাকেজ যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে ইউক্রেনে পৌঁছায়, সেই চেষ্টা করছে বাইডেন প্রশাসন। পাশপাশি মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে তার মিত্র ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদেরও ইউক্রেনে সহায়তা পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণার দু’দিন আগে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে (দনবাস রিপাবলিক) স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় মস্কো।
বৃহস্পতিবার এই যুদ্ধ গড়িয়েছে ৫৬ তম দিনে। এই সময়সীমার মধ্যে এর আগে ইউক্রেনে কয়েক দফা সামরিক ও অর্থ সহায়তা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
অভিযানের শুরুর দিকে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের সামরিক স্থাপনাসমূহে হামলা চালালেও গত দু’সপ্তাহ আগে নিজ সেনাদের ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সরিয়ে এনেছে রুশ কমান্ড। বর্তমানে পূর্বাঞ্চলে তীব্র সংঘাত চলছে রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে।