বাংলা নববর্ষের দিন থেকে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমে রাজধানীতে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। দাম কিছুটা কমায় তরমুজ বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রোববার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও অলিগলিতে লম্বা তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। তবে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছে দাম হাঁকাচ্ছেন ৪৫-৫০ টাকা। তবে ক্রেতারা দর-দাম করে ৩৫ টাকা কেজিতে কিনছেন।
এক সপ্তাহে আগেও তরমুজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৪৫-৫০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দর কমেছে ৫-১০ টাকা। একই দরে কালো ও আকারে ছোট তরমুজও বিক্রি হচ্ছে। আকারে ছোট ২-৩ কেজি ওজনের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়।
বাদামতলী থেকে এনে রাজধানীর মালিবাগ বাজারে তরমুজ বিক্রি করেন রিপন মন্ডল। তিনি বলেন, রোজার প্রথম সপ্তাহে তরমুজ বিক্রি করেছি ৬০-৭০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহেও বিক্রি করেছি ৪৫-৫০ টাকা কেজিতে। দুই-তিন দিন দরে বিক্রি করছি ৩৫-৪০ টাকা কেজিতে। তিনি বলেন, তরমুজের দাম কমায় বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। দাম কম থাকাই ভালো।
ক্রেতাদের দাবি, তরমুজের দাম এখনও বেশি। মালিবাগ বাজার থেকে রাসেল মিয়া নামের এক ক্রেতা ৫-৬ কেজি ওজনের একটি তরমুজ কেনেন ২১০ টাকায়। তিনি বলেন, এই তরমুজের দাম সর্বোচ্চ ১০০-১২০ টাকা হওয়া উচিত। তার দাবি, দুই বছর আগে তরমুজ পিস হিসেবে বিক্রি হয়েছে। তখন ৮০-৯০ টাকায় এরকম তরমুজ কিনেছেন তিনি।
ইফতারিতে খেতে সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার থেকে ২৫০ টাকায় একটি তরমুজ কিনেছেন মুনশি ইকরামুজ্জামান। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাজারে কোথাও পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি হয় না। সব কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, পিস হিসেবে কিনে ব্যবসায়ীরা কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করছেন। ফলে ১০০ টাকার তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা। ব্যবসায়ীরা দ্বিগুণ লাভ করছেন।
মধ্যবাড্ডার ফল বিক্রেতা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, কেজি হিসেবে কারওয়ান বাজার থেকে কিনেছি, তাই কেজি হিসেবে বিক্রি করছি। আপনি যদি কেজি হিসেবে কিনতে না চান তাহলে পিস হিসেবে বিক্রি করব। তবে দাম কেজির পরিমাণ করে যে টাকা আসবে সেটাই দিতে হবে।
কেজি বা পিস বড় কথা নয়, তরমুজের দামতে শুরু করেছে তাই বিক্রিও বাড়ছে বলে জানান তিনি।