মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা (ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম-আইআরএফ) বিষয়ক দূত রাশাদ হোসাইন ও বাংলাদেশের নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রোববার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার পল্টন টাওয়ারের অফিসে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন তারা।
রাশাদ হোসাইন বলেন, আমি ও আমার পরিবার ভারতের বিহার থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছি এবং নাগরিকত্ব পেয়েছি। সেখানকার সংবিধান ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টিকে সেদেশের সব নাগরিকের জন্য সমান অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করে বিধায় আমি আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কর্তৃক মনোনীত হয়ে এ জায়গায় আসতে পেরেছি। সংবিধানের একটি মৌল উদ্দেশ্য হলো সংখ্যালঘুদের অধিকার সুনিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, সমাজের মনোজাগতিক বিষয়ের পরিবর্তন কেবল সরকারের একার নয় আপনারাসহ সুশীল সমাজকেও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি সারা বিশ্বে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিপীড়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবহিত রয়েছে এবং পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। রাশাদ হোসাইন চীনে মুসলমান নিগ্রহ ও মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচারের বিষয়গুলোও উল্লেখ করেন।
এই অবস্থার অবসানে বিশ্বে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার বিকাশে মার্কিন প্রচেষ্টা চলমান থাকবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ঐক্য পরিষদের নেতাদের সঙ্গে ভবিষ্যতেও যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন। বৈঠকে মতবিনিময়ে অংশ নেন ঊষাতন তালুকদার, ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, নির্মল রোজারিও, দীপেন চ্যাটার্জী, অশোক বড়ুয়া, মনীন্দ্র কুমার নাথ, নির্মল চ্যাটার্জী প্রমুখ। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক দূত রাশাদ হোসাইন রোববার চার দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন।