৩৩২ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। সেন্ট জর্জেস পার্কে চতুর্থ দিন সকালে ৩ উইকেটে ২৭ রান নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। এদিন মাত্র ১৪ ওভার ৩ বল খেলতে বাকী ৭ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এরমধ্যে লিটন ও মিরাজের ব্যাটে সর্বনিম্ন রানের লজ্জা কাটায় টাইগাররা। চতুর্থ দিন সকালে দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মাত্র ১ রান করে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মুশফিকুর রহিম। এর দুই ওভারের মাথায় মুশফিকের দেখানো পথে হাটেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল।
লিটনের পর মিরাজকেও বেশীক্ষণ মাঠে থাকতে দেননি এই বাঁহাতি স্পিনার। ২০ রান করা মিরাজকে কিপার কাইল ভেরেইন্নার ক্যাচে পরিণত করেন মহারাজ। একই ওভারে এবাদতকে এলবির ফাঁদে ফেলে ইনিংসে ৭ উইকেট শিকার করেন মহারাজ। ম্যাচে মোট ৯ উইকেট শিকার করলেন মহারাজ। এর আগে প্রথম টেস্টের শেষ ইনিংসেও ৭ উইকেট নিয়েছিলেন মহারাজ। বাংলাদেশ ডারবানের সেই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পেরেছিল মাত্র ৫৩ রান।
বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ উইকেটটি নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশাল ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন হার্মার। তাইজুলকে ফেরান এই অফস্পিনার। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন হার্মার। এ নিয়ে টানা দুই টেস্টে প্রোটিয়ার এই দুই স্পিনার ইনিংসে ১০ উইকেট শিকার করলেন। এর আগে গেবেখা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৫৩ রান করে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ২১৭ রান করতে পারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ফলোঅনের শিকার হলেও ডিন এলগার ফলো অন না করিয়ে আবার ব্যাটিংয়ে নামেন। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করতেই ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে বাংলাদেশের সামনে ৪১৩ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড়ায়। সংক্ষিপ্ত স্কোর বাংলাদেশ, দ্বিতীয় ইনিংস: ৮০/১০ (২৩ ওভার) দক্ষিণ আফ্রিকা, দ্বিতীয় ইনিংস: ১৭৬/৬ ডিক্লে. (৩৯.৫ ওভার) বাংলাদেশ প্রথম, ইনিংস: ২১৭/১০ (৭৪.২ ওভার) দক্ষিণ আফ্রিকা, প্রথম ইনিংস: ৪৫৩/১০ (১৩৬.২ ওভার)