টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত যাত্রা নিয়ে বার্সেলোনা পা রেখেছিল লা লিগার অবনমন অঞ্চলে থাকা লেভান্তের মাঠে। সেই লেভান্তেই কিনা রীতিমতো হারিয়ে দেওয়ার হুমকিই দিচ্ছিল কোচ জাভি হার্নান্দেজের দলকে। তাতে তাদের নিজেদেরও দোষ ছিল বৈকি, দলের রক্ষণ প্রতিপক্ষকে রীতিমতো ‘উপহার’ দিয়ে বসে তিন তিনটি পেনাল্টি। তবে এত কিছুর পরেও বার্সা ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে। ৩-২ গোলের এই জয়ে জাভির দল চাপটা ধরে রাখল লিগের শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের ওপর।
মাঝসপ্তাহেই বার্সা লড়বে আইনট্র্যাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে। সেই লড়াইকে সামনে রেখে লেভান্তের মাঠের এ ম্যাচে মিডফিল্ডার পেদ্রি গনজালেসকে কিছুটা বিশ্রাম দিতে চেয়েছিলেন কোচ জাভি। শেষ কিছু দিনে বার্সেলোনা দলে তার গুরুত্বটা বোঝা গেল দলের পারফর্ম্যান্সে। প্রথমার্ধে বলের দখলে থাকলেও তার অভাবেই যেন গোলের সুযোগ খুব একটা সৃষ্টি করতে পারল না বার্সা।
লেভান্তে সে সুযোগটা কাজে লাগিয়ে বেশ কিছু দারুণ সুযোগই তৈরি করেছে। দুবার মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন আর এরিক গার্সিয়ার কল্যাণে রক্ষা পায় বার্সা। বিরতির পর দানি আলভেসের ভুলে পেনাল্টি পেয়ে যায় দলটি। সে থেকে গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন হোসে লুইস মোরালেস। এর মিনিট দুয়েক পর বক্সে ভেসে আসা বলে হাত ছুঁইয়ে প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি দিয়ে বসেন এরিক গার্সিয়া। রজার মার্তির নেওয়া সেই পেনাল্টি ঠেকিয়ে বার্সাকে আরও পিছিয়ে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক টের স্টেগেন।
খেলার মোড়টা ঘুরল এর পরই। সেই পেনাল্টি সেভের পরই দুই মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং ও নিকো গঞ্জালেসকে তুলে পেদ্রি ও গাভিকে নামান বার্সা কোচ। এর কিছু পরই নিজেদের প্রথম গোল পায় বার্সা। দেম্বেলের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোলটি করেন পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াং। খেলার ৩ মিনিট পর আবারও গোলের দেখা পেয়ে যায় বার্সা। ডান পাশ থেকে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে মাঝে থাকা পেদ্রিকে পাস বাড়ান গাভি। বদলে জাসার কপমু ওরার পেদ্রি প্রথম ছোঁয়াতেই বলটা পাঠান দূরের পোস্ট দিয়ে। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় বার্সা।
তবে ৮২ মিনিটে আরও একটা পেনাল্টি যায় স্বাগতিকদের কাছে। সেবার গোল হজম করে ড্রয়ের শঙ্কা তাতে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বার্সা শিবিরে। তখন আরও এক বদলি ম্যাচের গতিপথটাই পাল্টে দেয়। বার্সা কোচ উসমান দেম্বেলের জায়গায় আনেন লুক ডি ইয়ংকে। শেষমেশ গোলটা এলো তার মাথা থেকেই। ইনজুরি সময়ে জর্দি আলবার ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোলটি করেন তিনি। ৩-২ গোলের জয় তুলে নেয় বার্সা। এই জয়ের ফলে বার্সা সেভিয়াকে টপকে চলে আসে লা লিগার ২য় অবস্থানে।