যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রকে সংহত করতে ও গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কারা নির্বাচনে আসবে সেটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার। নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না।
ব্রিফিংয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিতে মার্কিন কর্তৃপক্ষকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধের বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য নিয়েও কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় এবং তারা যেহেতু বারবার বিদেশিদের কাছে সব বিষয় নিয়ে ধরনা দেয় সেই প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুধু মিডিয়ার সামনে একথা বলেছেন, সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেননি। তার বক্তব্য একান্তই ব্যক্তিগত, সরকারের কিংবা আমাদের দলের বক্তব্য নয়।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোনোকিছু হলেই বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়, চিঠি লিখে। এমনকি বাংলাদেশকে সাহায্য দেওয়া পুনর্মূল্যায়ন করার জন্য বিএনপি কংগ্রেসম্যানদের কাছে চিঠি লিখেছে। বেগম খালেদা জিয়া নিজেই মার্কিন পত্রিকা ওয়াশিংটন টাইমসে এ নিয়ে নিবন্ধ লিখেছেন।’
তবে যারা গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, জনগণের রায়ে বিশ্বাস করে তাদের জন্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি আশা করব, বিএনপি নির্বাচনভীতি কাটিয়ে উঠে নির্বাচনে অংশ নেবে।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিনি ২০১৯ সালের একটি বিস্ফোরক মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি আছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্যান্য মামলাও আছে, সে জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকালের মিছিলের সঙ্গে তার গ্রেপ্তারের কোনো সম্পর্ক নেই।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করেছিল, যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার হুকুমদাতা, তাদেরও গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।’