আক্রমণে মুস্তাফিজুর রহমানকে আনেন দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পান্ত। শেষ দুই ওভারে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। আগের তিন ওভারে উইকেট না পেলেও যেভাবে রানের চাকায় লাগাম দিয়ে রেখেছিলেন বাংলাদেশি এই পেসার, সেটা ধরে রাখতে পারলেই জয়টা অনেকটাই হাতের মুঠোয় চলে আসতে পারতো, উইকেট পেলে তো কথাই নেই। কিন্তু সেটা আর হলো না, মুস্তাফিজ এক ওভারেই দিলেন ১৪ রান। তাতে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে জয়টা অধরাই রয়ে গেল মুস্তাফিজের।
মুস্তাফিজের দলকে টসে হেরে নামতে হয়েছিল ব্যাট করতে। তবে শুরুটা নেহায়েত মন্দ হয়নি দলটির। পৃথ্বী শ’র ৩৪ বলে ঝোড়ো ৬১তে ভর করে সাত ওভারেই দিল্লি তুলে ফেলেছিল ৫৭ রান। কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের পরের ওভারের প্রথম দুই বল থেকে পৃথ্বীর কল্যাণে এল ১০ রান। তখন দিল্লির বড় সংগ্রহ পাওয়াকে মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র।
তবে দৃশ্যপট বদলে গেল ওভারটির তৃতীয় বলে। গৌতমের বলে উইকেটের পেছনে কুইন্টন ডি কককে ক্যাচ দেন পৃথ্বী। পরের ১৮ বলে রান উঠল মাত্র ৭, দিল্লি উইকেট খোয়াল আরও দুটো। তাতে বেশ চাপে পড়ে যায় দলটি। সে চাপ ঋষভ আর সরফরাজ খানের কল্যাণে সামলায় দিল্লি। দু’জন মিলে শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন উইকেটে। তবে রানের চাকা আর সচল হয়নি। শেষ দিকে সরফরাজের কিছু বাউন্ডারিতে রানটা কেবল ভদ্রস্থই হয়েছে দিল্লির, ‘লড়াকু সংগ্রহ’ আর এনে দিতে পারেনি মুস্তাফিজদের।
জবাবে লখনৌ ডি ককের ব্যাটে চড়ে শুরুটা দারুণ পায়। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে তার ৫৮ বলে ৭৪ রানের ওপেনিং জুটিই গড়ে দিয়েছিল জয়ের ভিতটা। এরপর দলীয় ৮৭ রানে এভিন লুইসকে হারায় লখনৌ। তবে ডি কককে ফেরাতে না পারায় লখনৌকে তখনো দুশ্চিন্তা উপহার দিতে পারেনি দিল্লি। ১২২ রানে ব্যক্তিগত ৮০ রান করা ডি কককে বিদায়ের পর জয়ের আশাটা আবারও জ্বলে ওঠে দলটির। মাঝের ওভারে চাপ ধরে রাখে দিল্লি। যার ফলে শেষ দুই ওভারে ১৯ রানের প্রয়োজন পড়ে লখনৌ’র।
মুস্তাফিজকে এদিন তিনটি আলাদা স্পেলে ব্যবহার করেছিলেন অধিনায়ক পান্ত। ১, ৬ ও ১৭তম ওভার করতে এসে যথাক্রমে ৫, ৩ ও ৪ রান দিয়ে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানটাও ভালোই দিচ্ছিলেন তিনি। সেই আশা থেকেই ১৯তম ওভারে তাকে আক্রমণে আনেন পান্ত। এবার আর আস্থার প্রতিদানটা দিতে পারেননি তিনি। প্রথম দুই বলে দুটো রান দিলেও তৃতীয় বলে ছক্কা, আর পরের তিন বলে ৬ রান দিয়ে বসেন তিনি। খেলাটা কার্যত ‘শেষ’ হয়ে যায় সেখানেই।
এক ওভারে ১৪ রান হজম করে বসায় শেষ ওভারে লখনৌ’র দরকার পড়ে ৫ রান। শার্দুল ঠাকুরের সেই ওভারের প্রথম বলে দীপক হুডাকে হারালেও তৃতীয় ও চতুর্থ বলে এক চার আর এক ছক্কায় লখনৌকে ৬ উইকেটের জয়টা এনে দেন আয়ুশ বাদোনি।
এই জয়ের ফলে ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লখনৌ অবস্থান করছে আইপিএল পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে। আর মুস্তাফিজের দল দিল্লি ৩ ম্যাচ থেকে ২ পয়েন্ট নিয়ে আছে তালিকার সপ্তম স্থানে।