এখন তীব্র দাবদাহে জনজীন অতিষ্ঠ হওয়ার সময়। কিন্তু চৈত্রের মাঝামাঝি সময় পেরিয়ে গেলেও পঞ্চগড়ে ব্যতিক্রমী আবহাওয়া বিরাজ করছে। গত তিন দিন ধরে এখানে চৈত্র মাসের দাপট দেখা যাচ্ছে না। দিনের বেলা মাঝেমধ্যে সূর্য উঁকি মারলেও অধিকাংশ সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকছে। পাশাপাশি বয়ে যাচ্ছে শীতল হাওয়া। শেষ বিকেলে পর শীতল হাওয়ার কারণে তুলে রাখা গরম কাপড় পরে বের হতে হচ্ছে। বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই দ্রুত বাসায় ফিরে যাচ্ছে। ফলে সন্ধ্যার পর ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে শহর। লঘুচাপের প্রভাবে আবহাওয়ার এমন অবস্থা বলে মনে করছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।
শনিবার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সবোর্চ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন ২১ দশমিক ৯ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানিয়েছেন, পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে দিনের বেলায় শীতল বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে এবং আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকছে। বৃষ্টি ও বজ্র সহ বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. কাওছার আহমেদ জানান, চৈত্র মাসে আবহাওয়া শীতল থাকায় আমাদের এখানে রোগীর চাপ নেই। সিজন পরিবর্তনের সময় ঠান্ডাজনিত রোগ ও ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। সুন্দর আবহাওয়ার কারণে আমাদের এখানে সবকিছু সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শামীম জানান, বর্তমান যে আবহাওয়া বিরাজ করছে, তাতে গম মাড়াইয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা অসুবিধা হলেও অন্য ফল-ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।