চলতি বছরে বাজেট বরাদ্দের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ভর্তুকির চাপ সামাল দিতে অর্থ সংস্থানের উপায় খোঁজা হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে দুটি মন্ত্রণালয় ৬০ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। সূত্র মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল, সারসহ প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। এর প্রভাবে সরকারের ভর্তুকির চাপ বেড়েছে। ইতোমধ্যে বাজেটে রাখা ভর্তুকি বরাদ্দের সিংহভাগ ব্যয় হয়ে গেছে।
ফলে ভর্তুকি ব্যয় মেটাতে বাড়তি বরাদ্দের এই চাপ এসেছে। বছর শেষ হতে আরো সময় বাকি থাকলেও চলতি বছরের বাড়তি বরাদ্দ এবং নতুন অর্থবছরের বরাদ্দ প্রক্ষেপণে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। কারণ, বিশ্ব জুড়ে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির নানা উপলক্ষ্য এখনো বিদ্যমান। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, করোনা শেষ হয়েও শেষ হয়নি এমন পরিস্থিতি স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনীতিকে বেশি সংকটে ফেলে দিয়েছে। এ সময় রাজস্ব আদায়েও প্রত্যাশিত সাফল্য আসেনি। উন্নয়ন ব্যয়েও পিছিয়ে। কিন্তু দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে গিয়ে এবং বাড়তি মূল্যের কারণে চাপ বেড়েছে।
অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রেমিট্যান্স প্রণোদনার হার ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এ খাতে প্রণোদনা পরিমাণ সংশোধিত বাজেটে বাড়িয়ে ৫ হাজার কোটি টাকা করা হতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় ২৮ হাজার কোটি টাকা এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয় ৩২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি চেয়েছে।