বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি নানাভাবে বিভক্ত’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন । ওবায়দুল কাদেরকে লক্ষ্য করে বলেছেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিএনপি কোনো দ্বিধা-বিভক্তির মধ্যে নয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আগের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ।’
শুক্রবার (১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আয়োজনে স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রতিদিন একটি করে ওহি নাজিল করতে থাকেন। এটা করতে গিয়ে গতকাল ওহি নাজিল করেছেন যে, বিএনপি নানাভাবে বিভক্ত। তাদের আন্দোলনের নেতা কে? এটা তিনি জানতে চান। এখনই তার পদত্যাগ করা উচিত। এতদিন ক্ষমতায় থাকার পরও যদি না জানেন বিএনপির নেতা কে, আন্দোলনের নেতা কে, তাহলে তাদের ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়।’
ফখরুল বলেন, ‘দিবালোকের মতো স্পষ্ট, বিএনপির নেতা হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া এবং তার অসুস্থতার জন্য যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান। আন্দোলনের নেতা হচ্ছে তারেক রহমান।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে যে সমস্যাটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তা হচ্ছে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধের যে প্রকৃত ইতিহাস সে সম্পর্কে যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটি ভ্রান্ত, ভুল ইতিহাস আমাদের আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরছেন।’
ফখরুল বলেন, ‘একটি সময় আমরা অতিক্রম করছি যে সময়টি জাতির জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ। আমাদের ভাষা আন্দোলন, গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ; এসবকিছুর যে অর্জন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিয়ে আসা, এসব কিছু তারা ভুলিয়ে দিয়ে একটা এককভাবে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিচ্ছে। আমাদের যে সৃজনশীলতা তা সবকিছু তারা ধ্বংস করে দিয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘এখন যে প্রবণতা চলছে সেটা হচ্ছে মিথ্যা, দেশের মানুষকে কষ্ট দেওয়া। আমাদের মা-বোনেরা এখানে রয়েছেন। প্রতিদিন যেভাবে নিত্যপণ্যের জিনিসের দাম বাড়ছে, কোনো রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। বাচ্চারা পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে রেহাই পাচ্ছে না। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আমানুল্লাহ আমান ও কবি আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ।