আগের ম্যাচেই মাত্র ১২৮ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচটা হেরেছিল ৮ উইকেটে। সেই দলটাই গত রাতে ১৩৮ রান তাড়া করতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিল বিপাকে। আগের ম্যাচের দুঃস্মৃতির পুনরাবৃত্তির শঙ্কাও জেঁকে বসেছিল কলকাতা-শিবিরে। তখনই দলের ত্রাতা হয়ে এলেন আন্দ্রে রাসেল। তার তাণ্ডবে ৬ উইকেটে পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে এক ম্যাচ পর জয়ে ফিরল দলটি।
তবে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এর আগের সময়টা ছিল উমেশ যাদবের। তার আগুনে পুড়ে ১৮.২ ওভারে মাত্র ১৩৭ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় পাঞ্জাব। ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেছেন তিনি, ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৪টি উইকেট।
অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে শুরুর ওভারেই ফেরান তিনি। এরপর ভানুকা রাজাপাকশের ৯ বলে ৩১ এ সে ধাক্কা সামলে বড় স্কোরের আশা দেখছিল পাঞ্জাব। তবে শিভম মাভির শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। পাঞ্জাবের রানের চাকাটা তখনো থমকে যায়নি। লিয়াম লিভিংস্টোন আর শিখর ধাওয়ান আশা দেখাচ্ছিলেন দ্রুত রান তুলে। তবে ষষ্ঠ ওভারে শিখর দলীয় ৬২ রানে ব্যক্তিগত ১৬ রানে ফেরেন। এর দুই ওভার পর লিভিংস্টোনও উমেশ যাদবের শিকার হয়ে ফেরেন ১৯ রানে, দলের রান তখন ৭৮।
তাদের বিদায়ের পরই মূলত রানের চাকা যায় থমকে দলটির। পরের ছয় ওভারে তোলে ৩৪ রান, হারায় ৮ উইকেট। শেষ দিকে কাগিসো রাবাদার ১৬ বলে ২৫ রানের ক্যামিওতে রানটা কেবল ভদ্রস্থই বানাতে পেরেছে পাঞ্জাবের, লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিতে পারেনি।
তবে কলকাতাও শুরুটা ভালো করতে পারেনি। দুই ওপেনার ভেংকটেশ আইয়ার (৩) ও অজিঙ্কা রাহানে (১২) ফেরেন অল্প রানেই। এরপর অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যাটে সে ধাক্কা কিছুটা সামলায় কলকাতা। তিনি করেন ১৫ বলে ২৬ রান। তবে তিনি ফেরেন পাওয়ারপ্লে শেষেই, তার ফেরার পর নীতিশ রানাও ফেরেন খালি হাতে। কলকাতা ৫১ রানে হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। তখন ১৩ ওভারে দলটির প্রয়োজন ছিল ৮৭ রান। আগের ম্যাচেই ১২৮ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার স্মৃতি যেন ফিরে ফিরে আসছিল কলকাতা শিবিরে।
তবে এরপরই শুরু রাসেল-শো’র। ২ চার ও ৮ ছয়ে মাত্র ৩১ বলে ৭০ রান করেন রাসেল, স্যাম বিলিংস তাকে সঙ্গ দিয়ে গেছেন। করেছেন ২৩ বলে ২৪। তাতে ৪৫ বলে ৯০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি পায় কলকাতা। গেলবারের ফাইনালিস্টরা পরের ৭.৩ ওভারেই পাঞ্জাবকে উড়িয়ে দেয়।
তবে এমন তাণ্ডব চালানোর পরও অবশ্য ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেননি রাসেল। শুরুতে আগুন ঝরানো বোলিং করা উমেশ জিতেছেন এই পুরস্কার।