তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সরকারের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে, ভবিষ্যতে তা আরও দৃঢ় হবে। তিনি বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যমের বিকাশ ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সরকার সমালোচনা গ্রহণ করতে জানে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সরকারের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। তা আরও দৃঢ় হবে। কিন্ত তবে শুধু নেতিবাচক বিষয় বাংলাদেশের অগ্রগতির গল্পগাথাও তুলে ধরা উচিত।’
বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে নোয়াব ২৫ বছর পেরোনো সদস্য সংবাদপত্রগুলোকে সম্মাননা দিয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অনলাইন ও ডিজিটাল মিডিয়ার বিস্তারে সংবাদপত্র চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও গুরুত্ব একেবারেই হারায়নি। এখনও বিশ্বাসযোগ্য খবরের উৎস সংবাদপত্র।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনার জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘এই আইন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে নয়। ডিজিটাল অনেক সাংবাদিক এই আইনে প্রতিকার পেয়েছেন।’ গণমাধ্যম কর্মী আইন নিয়ে উদ্বেগের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘এই আইন সংবাদকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবির ফল। সবার সঙ্গে কথা বলেই আইনটি চূড়ান্ত করা হবে। তবে মালিকপক্ষ যেনো সাংবাদিকদের আইনানুযায়ী সুযোগ সুবিধা দেন।’
নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ২৫ বছর পেরোনো সদস্য সংবাদপত্রগুলোকে সম্মাননা দিয়েছে। এ উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরবিক্রম, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান।
এছাড়া নোয়াব সদস্য, সম্পাদক, সাংবাদিক নেতা, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, কবি-লেখক, রাষ্ট্রদূত, আইনজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নোয়াবের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।