চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নেওয়ার পর পিএসজি তারকাদের রীতিমতো শূলেই চড়ানো হচ্ছে। নেইমারও এই তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন না। অনুশীলনে অবহেলা, ব্যক্তি জীবনে খামখেয়ালিপনা নিয়ে আগেও কথা হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের পর যেন তা বেড়েছে আরও। সম্প্রতি ফরাসি সাংবাদিক দানিয়েল রিয়োলো তো বলেই ফেললেন, নেইমার নাকি রীতিমতো মদ খেয়ে মাতাল হয়ে আসেন অনুশীলনে!
গেল গ্রীষ্মকালীন দলবদলে অনেক আশার ফানুসই উড়িয়েছিল পিএসজি। নেইমার এমবাপে তো আগে থেকেই ছিলেন, সেই দলবদলে যোগ দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি, সার্জিও রামোস, জিয়ানলুইজি ডনারুমাদের মতো তারকারাও। তাতে অধরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার আশা আরও বেড়ে গিয়েছিল দলটির।
তবে রিয়াল মাদ্রিদ তাদের যেন রুঢ় বাস্তবতার সামনে এনেই দাঁড় করিয়েছে। পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অপেক্ষা বেড়েছে আরও। এরপর থেকে একের পর এক সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হচ্ছেন পিএসজির খেলোয়াড়রা।
নেইমারও হলেন। ফরাসি সাংবাদিক দানিয়েল রিয়োলো এক সাক্ষাৎকারে জানালেন এ কথা। আরএমসি স্পোর্তকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সে অনুশীলনে তেমন আসেই না। যদিও আসে, সে খুবই বাজে অবস্থায় আসে। প্রায় মাতাল অবস্থাতে আসে।’
বছর কয়েক আগে গুঞ্জন ছিল তার পিএসজি ছাড়ার, তবে ক্লাবের চেয়ারম্যান নাসের আল খেলাইফি তার পথ আগলে দাঁড়ান এক্ষেত্রে। সেই ঘটনারই প্রতিশোধ নিচ্ছেন তিনি, দাবি রিয়োলোর। বললেন, ‘নেইমার এভাবেই তার প্রতিশোধটা নিচ্ছে পিএসজির বিপক্ষে।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের পরের ম্যাচে মেসিসহ তিনিও দুয়োধ্বনি শুনেছিলেন। রিয়োলো জানালেন, ভক্তরা চান, তাকে যেন ক্লাব থেকেই তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বললেন, ‘নেইমার কী ভাঁড়ামো করেছে, কিংবা নেটফ্লিক্সে কোন প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশ করেছে, তা পিএসজি ভক্তরা পাত্তাই দেয় না।’
তিনি আরও মনে করেন, পিএসজিকে ধ্বংস করছেন নেইমার। তার ভাষ্য, ‘তার চেকটা সই করে তাকে যেতে দেওয়া উচিত আমাদের। সে ক্লাবের ক্ষতি করেছে ক্লাবের, তাকে যেতে দেওয়া উচিত। সে পিএসজিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নেওয়ার পর পিএসজি থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়নি। তাতেও চটেছেন রিয়োলো। তিনি বলেন, ‘পিএসজি এখন আর কোনো ক্লাব নয়। কোচের কোনো অস্তিত্বই নেই, সভাপতির মুখ থেকে একটা কথাও বের হয়নি। এমন এক বিপর্যয়ের পরে নাট-বল্টুগুলো আরও আঁটসাঁট করা উচিত ছিল। কিন্তু কিছুই হয়নি! লিওনার্দো (ক্রীড়া পরিচালক) বা নাসের আল খেলাইফি (সভাপতি) কারো কাছ থেকেই কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি! কিচ্ছু আসেনি! পুরোপুরি হার মেনে নিয়েছে দলটি!’