রাশিয়াকে সহযোগিতা না করার বিষয়ে সতর্ক করতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে কল করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু জিনপিংয়ের কাছ থেকেই উল্টো ধমক খেতে হলো তাকে। চীনের তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র যেন নাক না গলায়, তা নিয়ে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট।
দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কথোপকথনের পর হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন চীনা প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করেছেন, ইউক্রেন আগ্রাসনে রাশিয়াকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করলে চীনকে ‘কঠিন পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। তবে দুই পক্ষই চলমান সংকটের কূটনৈতিক সমাধানে গুরুত্ব দিয়েছে।
কিন্তু চীনা গণমাধ্যমের খবর বলছে, জিনপিং উল্টো বাইডেনকে সতর্ক করে বলেছেন, তাইওয়ান ইস্যু ঠিকঠাকভাবে সামলাতে হবে। তা না হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি নিশ্চিত।
তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ মনে করে চীন। দ্বীপটিকে বলপ্রয়োগ করে হলেও ফের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে জুড়তে চায় বেইজিং। তাইপেইয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের আনুষ্ঠানিক কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও তাদের সবচেয়ে বড় সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্র।
ভিডিও কলে চীনের প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কিছু লোক তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থি শক্তিগুলোকে ভুল বার্তা পাঠাচ্ছে। এটি খুবই বিপজ্জনক। তাইওয়ান ইস্যুটি ঠিকভাবে সামলানো না হলে দুই দেশের সম্পর্কের ওপর বিধ্বংসী প্রভাব পড়তে পারে।
তাইওয়ানে পুনর্নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় বছর দুয়েক ধরেই সামরিক কার্যক্রমের গতি বাড়িয়েছে চীন। জিনপিং বলেছেন, আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র এই ইস্যুতে যথেষ্ট মনোযোগ দেবে।
অবশ্য হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাইডেন জিনপিংকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের তাইওয়ান নীতি বদলায়নি। এখনো দ্বীপটিতে বিদ্যমান স্থিতিশীলতায় যেকোনো ধরনের পরিবর্তনের বিরুদ্ধে তারা।
চীনা গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, জিনপিং বাইডেনকে আরও বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ যত দ্রুত সম্ভব শেষ হওয়া দরকার। রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনায় সবারই সমর্থন জানানো উচিত। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে ইউক্রেন সংকটের ‘মূল কারণ’ খুঁজতে রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলতে হবে।