ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বেসরকারি একটি হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের সময় নবজাতকের হাত ভেঙে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৭ মার্চের এই ঘটনায় রোববার (১৩ মার্চ) বিকেলে সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে নবজাতকের পরিবার।
লিখিত অভিযোগ ও নবজাতকের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুহিলপুর গ্রামের সাদ্দাম মিয়া ও সাবিনা ইয়াছমিন দম্পতির ঘরে একটি ছেলে সন্তান আছে। সাবিনা আবার গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে শহরের জেল রোডস্থ ইউনাইটেড হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক নুসরাত জাহানের কাছে নিয়মিত চেকআপে ছিলেন।
গত ৭ মার্চ বিকেলে সাবিনার প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে তাৎক্ষণিক জেলা শহরের কুমারশীল মোড়স্থ গ্রীন ভিউ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। ওইদিন রাত সাড়ে ৯টায় হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক তাসনুভা সাঈদ সাবিনার সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করান। জন্ম হয় এক ছেলে সন্তানের। তবে নবজাতকটিকে হাসপাতালের সেবিকারা সাবিনার মা পারভিন বেগমের কাছে দিতে গেলে তিনি শিশুটির বাম হাত ফুলা দেখতে পান। এর কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, শিশুটির জন্মগত ত্রুটি আছে। পরদিন হাসপাতালের অর্থোপেডিকস্ চিকিৎসক আবু হামেদ বাবু নবজাতকটিকে দেখে জানান, জন্মের সময় হাত পেছনে ছিল তাই দুর্বলতা থেকে এমন হচ্ছে। এক্স-রে করার পর জানানো হয় বাম হাত ভেঙে হাড় আলাদা হয়ে গেছে।
নবজাতকের নানী পারভীন বেগম বলেন, নিয়মিত যে চিকিৎসকের চেকআপে ছিল- তিনি জানিয়েছিলেন বাচ্চা নরমাল আছে। অস্ত্রোপজারের সময় হাত ভেঙে ফেলা হয়েছে। অথচ অস্ত্রোপচার করা চিকিৎসক একবারও আর বাচ্চাটিকে দেখতে আসেনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অস্ত্রোপচারকারী গাইনি চিকিৎসক তাসনুভা সাঈদ বলেন, নবজাতকের হাত ভেঙে যায়নি, মায়ের গর্ভে তার হাত পেছনে ছিল। জন্ম হওয়ার পর তার হাত ঝুলছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার মাহমুদুল হাসান জানান, লিখিত অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।