শুধু মোবাইলফোন ও ইন্টারনেটের সাহায্যে নিজের ফসলি জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করে ভালো মানের ফলন ঘটিয়েছেন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের উত্তর রহমতপুরের একজন কৃষক। এরইমধ্যে সবুজ গাছের ডগায় হলুদ ফুলে ভরে গেছে সৌখিন কৃষক রঞ্জন দের ৪৬ শতাংশ জমির ওপর আলাদা দুটি সূর্যমুখীর ক্ষেত।
সূর্যমুখী ফুলের এ ফলন দেখে হতবাক স্থানীয়রা। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত স্থানীয়রাসহ বরিশাল শহর থেকে তার এ জমিতে সূর্যমুখী ফুল দেখতে আসছেন শত শত মানুষ। লোকসান না হলে ভবিষ্যতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ আরও ব্যাপক হারে করবেন বলে জানিয়েছেন ওই কৃষক।
তিনি বলেন, মোবাইলফোনে ইন্টারনেট ঘেঁটে সূর্যমুখী চাষের ওপর বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখি। এরপর সূর্যমুখী চাষের ওপর খুব আগ্রহী জমে। বরিশালের একটি দোকান থেকে সূর্যমুখীর বীজ সংগ্রহ করে তা পৌষের মাঝামাঝি সময়ে ক্ষেতে বপন করি। বাড়ির পেছনের ৩৪ শতাংশ ও ১২ শতাংশের ওপর থাকা দুটি আলাদা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করি। ইন্টারনেটে পাওয়া তথ্যানুযায়ী স্বাভাবিক নিয়মে পরিচর্যা করেছি। আশা করছি, ভালো ফলন পেতে যাচ্ছি। কারণ ফাল্গুনের প্রথম দিকে দুটি জমির সব গাছেরই ফুল ধরেছে। এর মধ্যে কিছু ফুল বেশ বড় আকারেরও হয়েছে। আর ২০ দিন পরে ফুলগুলো পরিপক্ক হলে কেটে নেওয়া হবে। ।
তিনি আরও বলেন, সূর্যমুখীর চাষ করতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কারো কোনো সহযোগিতা নিইনি। আবার আগ্রহ নিয়ে তারাও আমার খোঁজ নেয়নি। ফলে মোবাইলফোন আর ইন্টারনেটই ছিলো আমার ভরসা। আর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত খরচ ১০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে আমার। টিয়াপাখি ছাড়া ক্ষেতের ওপর নজর কারো নেই। তাই তেমন কোনো ক্ষতিও সাধন হয়নি।
এদিকে রঞ্জন দের ভাগিনা আকাশ বলেন, ইন্টারনেট ঘেঁটে যেমন আগ্রহ সৃষ্টি, তেমনি ইন্টারনেটে দেখে দেখেই চাষ করে ফলন পাবেন আমার মামা রঞ্জন দে। হলুদে ভরা ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসছেন, বিশেষ করে ছবি তোলার মানুষের আনাগোনা থাকছে বেশি। শুধু মানুষ নয় ক্ষেতে প্রচুর মৌমাছি ও টিয়ার দেখাও মিলছে।