দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সাকিব আল হাসানের খেলা, না খেলা নিয়ে গত কিছু দিনে রীতিমতো নাটকই মঞ্চস্থ হলো দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। ক্ষণে ক্ষণে রং বদলেছে। নাটকে রাগ-অভিমান, সমালোচনা চূড়ান্ত রূপ নিয়েছিল। সর্বশেষ শনিবার দুই পক্ষ সম্মিলিতভাবেই শান্তি, স্বস্তির খবর দিয়েছে। অনেক নাটকীয়তা পেরিয়ে আজ দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছেন সাকিব। তবে এটাই নাটকের শেষ দৃশ্য, তার নিশ্চয়তা এখনই দেওয়া যাচ্ছে না!
২৮ ফেব্রুয়ারি টেস্ট খেলবেন কি সাকিব? চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের বিসিবি সভাপতি বলেছেন, যেহেতু ও (সাকিব) আইপিএলে নেই, আইপিএলে ও যাচ্ছে না তাহলে তো আমি কোনো কারণ দেখছি না দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট না খেলার। আইপিএলের জন্যই যেতে চাচ্ছিল না। যেহেতু আইপিএল নাই সে খেলবে। ১ মার্চ দুই ঘণ্টার ছুটিতে টিম হোটেল ছেড়ে ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক কাজে আসা সাকিবের প্রতি সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, টেস্ট খেলবেন কি না? এই অলরাউন্ডার বলেছিলেন, আজ ছুটিতে আছি। ছুটির দিনে খোলাসা করার কিছু নেই। জানতে চান, জানতে পারবেন।
৩ মার্চ সাকিবকে নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টেস্ট দল ঘোষণা করে বিসিবি। ৬ মার্চ দুবাই যাওয়ার আগে রাতে সাংবাদিকদের সাকিব বলেছেন, আমি মানসিক ও শারীরিকভাবে সে অবস্হায় আছি, আমার মনে হয় না আমার পক্ষে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা সম্ভব।
৭ মার্চ আগের দিন সাকিবের বক্তব্য জেনে এদিন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন বিসিবি সভাপতি। নিজ বাসভবনে তিনি বলেছিলেন, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এটা কে জানে? মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলে আইপিএল খেলতে চাচ্ছিল নাকি? মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকলে তো বলত আমি আইপিএলও খেলব না। ধরুন আইপিএলে ওকে নেওয়া হলো, তখন কি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হতো? আমার মাথায়ই ঢুকছে না।
৯ মার্চ দুবাইয়ে থাকা সাকিবের সঙ্গে কথা বলেই তাকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেয় বিসিবি। ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছিলেন, সাকিবের ব্যক্তিগত চাওয়ার কথা চিন্তা করে আমরা একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছি। যেহেতু বলছে সে মানসিক ও শারীরিকভাবে আনফিট, তাকে বিশ্রাম দেওয়া দরকার। আমরা তাকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম দিতে সম্মতি দিয়েছি।