বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলায় নিহত জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ রোববার (১৩ মার্চ) বাংলাদেশে আসছে না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। রোববার (১৩ মার্চ) দুপুর ২টায় তার্কি এয়ারলাইনসের একটি কার্গো ফ্লাইটে হাদিসুরের মরদেহ ঢাকায় পৌছানোর কথা ছিল। তার মরদেহ তুরস্কে ট্রানজিট হয়ে আসার কথা ছিল। তবে তুরস্কে তুষারপাতের কারণে সে ফ্লাইট বাতিল হয়। এখন তার মরদেহ প্যাসেঞ্জার ফ্লাইটে আনার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ ইউক্রেনে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। পরদিন ৩ মার্চ অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে ২৮ নাবিককে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের নিরাপদ বাঙ্কারে রাখা হয়। সেখান থেকে তাদের প্রথমে মলদোভা, পরে রোমানিয়া নিয়ে আসা হয়। গত ৯ মার্চ ২৮ নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
ইউক্রেন থেকে ২৮ নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হলেও হাদিসুর রহমানের মরদেহ আনা সম্ভব হয়নি । তার মরদেহ ইউক্রেনে ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছিল । ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে ২৯ জন নাবিক নিয়ে আটকা পড়েছিল ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের এই জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছে। জাহাজটি ইউক্রেন থেকে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার পর তারা আটকে পড়েছিলেন।