করোনাভাইরাস সময়কালে স্কুল-কলেজে কী পরিমাণ অনলাইন ক্লাস হয়েছে তার তথ্য চেয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ে ক্লাসের সংখ্যা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের কাছে এ অনলাইন ক্লাসের তথ্য চেয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আঞ্চলিক উপ-পরিচালকদের প্রতিমাসের ১ তারিখ সব স্কুল-কলেজের অনলাইন ক্লাসের তথ্য প্রমাণ পাঠাতে বলা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর থেকে এসব তথ্য জানিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
অধিদফতর বলছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৪ মার্চ ইমেইলে করোনা সংক্রমণকালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার অর্জন বিষয়ে প্রমাণক সরবরাহের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাই, অধিদফতর থেকে প্রতিমাসের ১ তারিখ বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ও স্নাতক (পাস) কলেজের অনলাইন ক্লাসের তথ্য প্রমাণকসহ পাঠাতে বলা হয়েছে আঞ্চলিক উপপরিচালকদের।
জানা গেছে, অনলাইনে প্রচারিত ক্লাসের তারিখ ও সময় উল্লেখ করে ক্লাস অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের জেলাভিত্তিক স্বাক্ষরিত প্রত্যয়ন পত্র প্রমাণক হিসেবে পাঠাতে হবে।
এদিকে করোনা সংক্রমণের মাত্রা বাড়তে থাকায় ৩০ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে শঙ্কার মধ্যেই ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। ২০ মার্চ থেকে এ অ্যাসাইমেন্ট শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট ও নির্ধারিত কাজের মাধ্যমে মূল্যায়ন শুরু হয়েছে।
গত বছরের মতোই ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট ও নির্ধারিত কাজ দেয়া হবে। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের কাজ প্রকাশ করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি পুনর্বিন্যাস করে শিক্ষার্থীদের শিখন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে অ্যাসাইনমেন্ট ও মূল্যায়ন ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা অধিদফতর।
জানা গেছে, অনলাইনে বা সামাজিক দূরত্ব মেনে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া এবং গ্রহণ করতে বলা হয়েছে স্কুলগুলোকে। কোনো শিক্ষার্থী যেন অর্থনৈতিক চাপের মুখে না পড়ে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।