অপহৃত শিশু জামেলাকে (৩) উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সাথে আটক করা হয়েছে অপহরণকারী নারীকেও। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকার সাভারে ব্যস্ততম সড়ক থেকে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীর সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। আটককৃত নারীর নাম পারভীন আক্তার (৪০)। তিনি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কুচুটি গ্রামের শমশের আলীর মেয়ে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী আব্দুস সালাম রুবেলবলেন, বুধবার রাত ১২টার দিকে খবর পাই চুরি হওয়া শিশুটি সাভারের নামাবাজার এলাকার স্থানীয় দুলাল নামের একজনের বাড়িতে রয়েছে। পরে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে জানতে পারি গতকাল থেকে দুলালের বাড়ির ভাড়াটিয়া লিপি বেগমের কাছে ছিল জামেলা। কিন্তু বুধবার বিকেলের দিকে পারভীন নামের ওই নারী শিশুটিকে সেখান থেকে নিয়ে গেছে। পরে সেখান থেকে পারভীনের ফোন নম্বর করে তাকে ফোন করে বলি জামেলাকে ফেরত দিলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। তখন পারভীন টাকা পাওয়ার লোভে শিশুটিকে ফেরত দিতে সম্মত হয়। একপর্যায়ে তার অবস্থান সম্পর্কে জানালে রাত ১টার দিকে সাভার সদর ইউনিয়নের কলমা এলাকার একটি দোকানের সামনে পারভীনসহ ওই শিশুকে দেখতে পাই। পরে সাভার মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে পারভীনকে আটক করে শিশু জামেলাকে উদ্ধার করে।
শিশুটির মা শিলা বেগম জানান, গতকাল থেকে সাংবাদিক ও পুলিশ ভাইয়েরা অনেক সহযোগিতা করেছেন। আজ আমি আমার সন্তানকে ফিরে পেলাম। এজন্য পুলিশ ও সাংবাদিক ভাইদের অনেক ধন্যবাদ জানাই। একইসঙ্গে অভিযুক্ত পারভীনের কঠিন শাস্তির দাবি জানাই।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, রাতে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কলমা এলাকায় আমিসহ পুকিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করি। একইসঙ্গে অভিযুক্ত পারভীনকে আটক করা হয়েছে। তবে কেন শিশুটিকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গেছেন তা এখনও জানা যায়নি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে সাভারের থানা রোডের স্বপ্ন সুপারশপের সামনের রাস্তায় খেলতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয় শিশু জামেলা। পরে পাশের এক সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখা যায় নীল বোরখা পরিহিতা এক নারী শিশুটিকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায়। পরে সেদিন বিকেলে ভুক্তভোগী শিশুটির মা শিলা বেগম সাভার মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। এঘটনায় ঢাকা মেইলসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে পুরো উপজেলায় আলোচলার সৃষ্টি হয়।