গত ২ মার্চ করোনা প্রতিরোধী টিকা নিয়েছিলেন কাজী হায়াৎ ও তার স্ত্রী। এরপর গত ৬ মার্চ থেকে প্রচণ্ড জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। এ কারণে ৮ মার্চ সকালে স্ত্রীসহ করোনা পরীক্ষা করান। সে সন্ধ্যায়ই ফল আসে সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।
১৫ মার্চ রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হন তারা। বর্তমানে সেখানেই চলছে তাদের চিকিৎসা। হাসপাতালে ভর্তির পরও শারীরিকভাবে ভালো ছিলেন দেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা কাজী হায়াৎ। কিন্তু একদিন পর তার অবস্থার কিছুটা অবনতি ঘটে। তবে এর পরদিন উন্নতি ঘটলেও এখন আবারও তার শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে। বিষয়টি জানিয়েছেন কাজী হায়াতের ছেলে চিত্রনায়ক কাজী মারুফ। তিনি সার্বক্ষণিক বাবার পাশে রয়েছেন।
কাজী মারুফ বলেন, ‘বাবার শারীরিক অবস্থা এই ভালো, এই খারাপ। আজকে ওনার শরীরটা বেশি খারাপ। অক্সিজেন বিশ লিটার লাগছে। আগে এর চেয়ে কম লেগেছিল। মেডিসিনও চলছে। এখনো তিনি সাধারণ বেডে আছেন। আইসিইউর প্রয়োজন হয়নি এখনো। দেশবাসী কাছে বাবার জন্য দোয়া চাইছি, তিনি যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন। ’
তিনি আরও জানান, তার মাও করোনা আক্রান্ত, কিন্তু এখন ভালো আছেন। তবে তিনিও হাসপাতালে রয়েছেন। প্রখ্যাত এই চলচ্চিত্র পরিচালক জানান, তার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছিল, হার্টে ১০টি রিং পরানো। এছাড়া তার স্ত্রীর হার্টেও ৫টি রিং পরানো রয়েছে এবং তার ডায়াবেটিস রয়েছে।
উল্লেখ্য, বাবা-মার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ছুটে এসেছেন কাজী মারুফ। বর্তমানে সার্বক্ষণিক হাসপাতালে থেকে বাবা-মার সেবা করছেন তিনি।