মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তেলের দামের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে মধ্যপ্রাচ্যের মুখাপেক্ষী হয়েছেন। কিন্তু সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানকে স্মরণ করে ব্যর্থ হয়েছেন বাইডেন।
সৌদি যুবরাজ সালমান কিংবা আমিরাতের যুবরাজ নাহিয়ান, কেউই বাইডেনের ফোনকলের জবাব দিচ্ছেন না। তেলের দামের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে এই দুই দেশের নেতাদের সাথে কথা বলতে চেয়েছিলেন বাইডেন।
ইউক্রেন সামরিক অভিযান শুরুর করার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে জ্বালানী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার প্রতি বিশ্বমত গঠনে আগেই যুবরাজ সালমান এবং নাহিয়ানের সাথে আলোচনা সেরেছিলেন বাইডেন। কিন্তু উভয় নেতাই প্রত্যাখ্যান করেছেন বাইডেনের অনুরোধ।
ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যুতে শুরু থেকেই নীরব মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। আনুষ্ঠানিকভাবে দোনেস্ক এবং লুহানস্কের বিচ্ছিন্ন প্রজাতন্ত্রকে স্বীকৃতি দেয়নি সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে রাশিয়ার সাথে ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করার আগ্রহ’ প্রকাশ করেছে দেশটি। আর সব পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা চালানোর আগ্রহ জানিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ সালমান।
রাশিয়ার ওপর জ্বালানী নিষেধাজ্ঞা আরোপর পর সৌদি আরবকে তেলের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি। মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাষ্ট্রকে সৌদি রাজতন্ত্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার ব্যাপারেও সতর্ক করেছিলেন সালমান।