চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে যে নাটকীয়তা তৈরি হয়েছিল তা এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। তবে হাইকোর্ট জায়েদ খানের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনে আর কোনো বাধা থাকল না তার। যদিও ইতোমধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিপুণ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।
এরকম এক পরিস্থিতির মধ্যে আজ শুক্রবার শপথ নিয়েছেন জায়েদ খান। তার সঙ্গে শপথ নিয়েছের সহ-সভাপতি ডিপজল, সুচরিতা, অরুণা বিশ্বাস ও জয় চৌধুরী। তাদের শপথ পাঠ করান সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। শপথ শেষে সমিতির প্রথম কার্যনির্বাহী মিটিংয়ে অংশ নেন উপস্থিত সবাই।
শপথ পাঠের আগে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যক্রম চালিয়ে যাব। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ আমাদের নেই। সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জটিলতা ছিল। হাইকোর্টের রায়ের সার্টিফাইড কপি দেখিয়েছেন তিনি। তাই তাকে আমি শপথ পাঠ করাচ্ছি। আদালতের রায় অমান্য করা সম্ভব নয়।’
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি সাধারণ সম্পাদক পদে শপথ নিয়েছিলেন নিপুণ আক্তার। তাকেও শপথ পাঠ করিয়েছিলেন ইলিয়াম কাঞ্চন। এরপর সাধারণ সম্পাদের চেয়ারেও বসেছিলেন তিনি।
গত ২৮শে জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এতে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ এবং মিশা-জায়েদ পরিষদ নামে দুটি প্যানেলে নির্বাচন হয়। কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ থেকে সভাপতি নির্বাচিত হন ইলিয়াস কাঞ্চন। অপরদিকে, মিশা-জায়েদ পরিষদ থেকে জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার কাছে ১৩ ভোটে হেরে যান নিপুণ।
পরে ভোটের দিন থেকে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা নিপুণ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করেন নির্বাচন বোর্ডের কাছে। এতে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে আদালতে যান জায়েদ খান।
এ অবস্থায় গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রাখেন। পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থাও বহাল রাখা হয় ওইদিন। একই সঙ্গে হাইকোর্টকে এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আদালত।
বুধবার (২ মার্চ) আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাতিল করে জায়েদ খানের পক্ষে রায় দেন বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।