বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার এবং বাংলাদেশের উৎপাদনকারীরা যেন আরও সমন্বিতভাবে যুক্ত হতে পারেন, তার উপায় খুঁজে বের করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশের উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারকেরা যাতে পণ্যের মানের বিষয়টি নিশ্চিত করে সেই লক্ষ্যে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে দেশটি আগ্রহ দেখিয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে উৎসাহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের অবকাঠামো, জ্বালানি, খনিজ সম্পদ উত্তোলন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি এবং সামুদ্রিক খাতে বিনিয়োগে অস্ট্রেলিয়া আগ্রহ দেখিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে সহায়তা দিতে রাজি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী যাতে উচ্চ শিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যেতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করতে দেশের এডুকেশন প্রোফাইলের উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
বৈঠকে তপন কান্তি ঘোষ বাংলাদেশের এবং অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উত্তর ও দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রথম সচিব গ্যারি কোয়ান তাঁর দেশের নেতৃত্ব দেন। যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান এবং বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার অংশ নেন।