ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে এসেছে হাজার হাজার বৃটিশ। রাজধানী লন্ডনে ডাউনিং স্ট্রিটের কাছেই কয়েক হাজার মানুষ জরো হয়ে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন এবং ইউক্রেনের পক্ষে তাদের সমর্থন জানান। এছাড়া কেনসিংটনে রুশ দূতাবাসের বাইরে অনেক মানুষ যুদ্ধবিরোধী স্লোগান দিয়েছেন। তারা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পুতিন যুদ্ধ বন্ধ করুন’। এ খবর দিয়েছে ইভেনিং স্টান্ডার্ড।
আন্দোলন থেকে ৩৩ বছর বয়স হেলেনা কোভালেঙ্কো জানান তিনি উত্তর ইউক্রেন থেকে এসেছেন। পুতিন তার মাতৃভূমিতে আগ্রাসন চালানোয় তিনি ক্ষুব্ধ। হেলেনা বলেন, আমার পরিবার সেখানে রয়েছে, আমার বাবা-মা সেখানে রয়েছে। আমি তাদের জন্য উদ্বিগ্ন। আন্দোলনকারীরা রুশ দূতাবাসের দেয়ালে নানা যুদ্ধবিরোধী স্লোগান লিখেছে। ইউক্রেনের পতাকার ছবি আঁকা হয়েছে ওই দেয়ালে। অনেক আন্দোলনকারীদের হাতে ছিল ইউক্রেনের পতাকা। আবার অনেকেই যুদ্ধ বন্ধের আহবান সম্বলিত প্লাকার্ড প্রদর্শন করছিলেন সেখান থেকে।
একই ধরণের আন্দোলন দেখা গেছে বৃটেনের ম্যানচেস্টার, এডিনবার্গ ও ব্রিস্টলে। এসব সমাবেশ থেকে রুশ প্রেসিডেন্টের প্রতি ক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে। ম্যানচেস্টারে আন্দোলনে অংশ নেয়া এক নারী জানান, তার বাবা রাশিয়ান এবং মা ইউক্রেনিয়ান। তিনি বেড়ে উঠেছেন ইউক্রেনের কিভ জেলায় যেখানে রুশ বাহিনী হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, যুদ্ধ চলছে এবং আপনি হবেন পরবর্তী টার্গেট। কিভ যেতে ম্যানচেস্টার থেকে মাত্র তিন ঘন্টা লাগে। ইউক্রেন একটি ইউরোপীয় দেশ, এটি গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ দেশ। তারপরেও কেনো আমাদেরকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে? এর একমাত্র কারণ ভ্লাদিমির পুতিন। এদিকে আয়ারল্যান্ডে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা রুশ রাষ্ট্রদূতকে বহন করা একটি গাড়ি আটকে দিয়ে প্রতিবাদ জানায়। উল্লেখ্য, রাশিয়ায়ও ইউক্রেনের উপরে এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষ। দেশটির ৫৪টি শহর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭০০ যুদ্ধবিরোধীকে গ্রেপ্তার করেছে রুশ পুলিশ।