আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, মির্জা ফখরুল আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীকে নির্বাচন কমিশনার বানিয়ে দিলেও বিএনপি মেনে নেবে না। শুধু পেছনের রাস্তা দিয়ে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায় সেটাই বিএনপির চিন্তা। তাদের ভোটেরও দরকার নেই, নির্বাচন কমিশনেরও দরকার নেই।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ভাষা সৈনিক পেয়ারু সরদার ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘প্রথম শহীদ মিনার ও পেয়ারু সরদার আলোচনা সভা ও সম্মাননা স্মারক’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, পৃথিবীতে এক দিনে এক কোটি লোককে কেউ টিকা দিতে পারবে না। বাংলাদেশে এক দিনে এক কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে। এটা শেখ হাসিনার কারিশমা। এটা বিএনপি মানতে চায় না।
তিনি বলেন, নির্বাচনের বাকি মাত্র ২২ মাস। এই ২২ মাসে অনেক ষড়যন্ত্র হবে, যেন নির্বাচনটা সুষ্ঠু না হয়। কোনো ভালো জিনিস তাদের চোখে পড়ে না। দেশটা এগিয়ে গেলে তাদের সহ্য হয় না। সংবিধান মোতাবেক ২০২৩ সালের নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হবে, একদিন আগেও না আবার একদিন পরেও না। যদি কেউ নির্বাচন নষ্ট করতে আগুন দিতে চান, বাধা দিতে চান, দেখছেন না ঢাকা শহরে কী অবস্থা হয়েছিলো! পিঠের চামড়া থাকবে না।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, দেশ যখন উন্নত হচ্ছে, তখন আমাদের পিছে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। দেশকে ধ্বংসের চেষ্টা চলছে। বিএনপির আমলে দেশের ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছিল। আমরা সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে চাই। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা মুক্তিযুদ্ধের বীজ বপন করেছিলাম। ভাষা আন্দোলন হলো মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার। আমরা জাতির জনকের গড়া সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করে সত্যিকার ইতিহাস নিয়ে এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, যে কমিশন সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠন হবে, হয়ত বিএনপি কিংবা তথাকথিত বুদ্ধিজীবীর কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে। এর মাধ্যমে একটা সুন্দর নির্বাচন হবে। বিএনপি ও তাদের বুদ্ধিজীবীরা দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আবুল কাশেম ফজলুল হক প্রমুখ।