ভারতের ক্রিকেটাররাও সাংবাদিকদের ব্যবহার করেন বলে দাবি করেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাবেক টিম ডিরেক্টর জয় ভট্টাচার্য। তিনি দাবি করেছেন, ক্রিকেটারদের সঙ্গে সখ্যতা বাড়াতে সাংবাদিকরা ভিন্ন পন্থা খুঁজে বের করেন। তিনি বলেন, ক্রীড়াবিদরা সবাই চান খেলার বাইরে তাদের বাকি কাজের ক্ষেত্রে যাতে অসুবিধার মুখে পড়তে না হয়। তাই ক্রিকেটারদের স্ত্রীদের শপিংয়ে নিয়ে যেতে পারলে, লন্ডনের কোনও কনসার্টের টিকিট ধরাতে পারলে, বা কোনও গাড়ি সংস্থার এমডিকে ফোন করে দাম সংক্রান্ত সুবিধা পাইয়ে দিতে পারলে সহজেই খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা যায়। এই বিশেষ শ্রেণির সাংবাদিকরা এভাবেই প্রভাব তৈরি করেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
জয় ভট্টাচার্যের টুইটবার্তার বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, কোনো সাংবাদিক যদি সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের সম্পর্কে ভালো ভালো কথা বলে পরোক্ষে দল নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারেন, বা প্রতিপক্ষ ক্রিকেটার সম্পর্কে গুজব রটাতে পারেন বলে বিশ্বাস তৈরি করতে পারেন, তাদের ক্ষেত্রে কাজ আরও সুবিধাজনক হয়ে দাঁড়ায়।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাবেক টিম ডিরেক্টর জয় ভট্টাচার্য আরও দাবি করেন, এক্ষেত্রে এই শ্রেণির সাংবাদিকরা বিশেষ ক্ষমতাবলে সরকারিভাবে বোর্ডের কাছ থেকে জানার আগেই সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে ফোন করে জানাতে পারেন তিনি সুযোগ পাচ্ছেন এবং এও জানাতে ভোলেন না যে, তার সুযোগ পাওয়ার পিছনে সেই সাংবাদিকেরও হাত রয়েছে। জয় বলেন, আসলে ক্রিকেটাররা এসব সাংবাদিকদের নিজেদের সুবিধামতো কমবেশি ব্যবহার করেন।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাবেক কর্তা জয় আরও দাবি করেন, নিউজ চ্যানেলগুলি আসলে ক্রিকেটের বোদ্ধা সাংবাদিক চায় না। তারা চায় এমন কাউকে, যে সহজেই তারকা ক্রিকেটারদের কাছে পৌঁছে ক্যামেরার সামনে তাঁদের মুখ থেকে কথা বার করাতে পারবে। সেই থেকেই এমন এক শ্রেণির সাংবাদিকের উদ্ভব হয়, যাঁরা গাভাসকর-কন্ট্রাক্টরকে না চিনতে পারেন, তবে এটা জানেন যে, কীভাবে স্টারদের পিছনে ঘুরে সাউন্ডবাইট আদায় করতে হয়।