সার্চ কমিটির কাছে বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রত্যাশিতদের নাম জমা দেবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় দলটি। জানা গেছে, সভায় উপস্থিত সদস্যদের কাছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার কারা হতে পারেন এমন যোগ্যতা সম্পন্ন পছন্দের ব্যক্তিদের নাম চান দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। পরে দলীয় সভাপতির কথা মতো প্রত্যেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা ৫ জনের নাম দেন।
সাংগঠনিক সফরে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে এবং বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের কথা জনগণকে জানানোর জন্য নেতাদের নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র ও নির্বাচনে বিশ্বাস করে না এটা তুলে ধরতে হবে। এসময় জনগণকে স্মরণ করিয়ে বলতে হবে ২০০১ সালে বিনা রক্তপাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আওয়ামী লীগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আর বিএনপি ১৯৯৬ সালে ও ২০০৬ সালেও ক্ষমতা ছাড়তে চায়নি। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার সকল চেষ্টা করেছে। ওই দলের মুখে গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে এত বড় বড় ছবক মানায় না।
নির্বাচন কমিশন গঠন আইন নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর কয়টি দেশে এমন আইন রয়েছে, সে সম্পর্কেও জনগণকে জানাতে হবে। বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, সংগঠন ঐক্যবদ্ধ থাকলে, সরকারের উন্নয়নের প্রচার ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সোচ্চার থাকলে আগামী নির্বাচনেও জিতবে আওয়ামী লীগ। সভাপতিমণ্ডলীর ওই সভায় নবনিযুক্ত সভাপতিমণ্ডলীর তিন সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন—মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।সভায় ওই তিন নেতা শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানান।