বাজার নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিংয়ে ব্যর্থতার দায়ে বাণিজ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে বরখাস্ত করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। নেতারা বলেছেন, বাজারে গেলে মনে হয় না দেশে কোনো সরকার আছে! সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, মন্ত্রণালয় ও সংস্থার চরম দায়িত্বহীনতা,সমন্বয়হীনতা ও গণবিরোধী ভুল সিদ্ধান্ত ও অসংলগ্ন কথাবার্তায় জনজীবনের সর্বগ্রাসী সংকট আরও বেড়েছে। সোমবার রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। সরকারের ‘চূড়ান্ত ব্যর্থতা’,‘অকার্যকারিতা’এবং বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য প্রতিরোধ করে মানুষ বাঁচানোর দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা জহিরুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা বাচ্চু ভূঁইয়া, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল আলী এবং ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) বিধান দাস।
সাইফুল হক বলেন, সরকার দেশের গোটা বাজারব্যবস্থাকে ব্যবসায়ীদের হাতে ও নৈরাজ্যের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। এই সুযোগে মুনাফাখোর বাজার সিন্ডিকেট মানুষকে রীতিমত জিম্মি করে ফেলেছে। যেন তাদের যা খুশি তাই করার লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। ক্ষমতায় থাকতে এখন আর ভোটের প্রয়োজন না থাকায় সরকার একের পর এক স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ নিচ্ছে। গত দু’বছরে ভোজ্য তেলের দাম আট দফা বাড়ানো হয়েছে। সরকারের ভূমিকা না থাকায় বিশ্ববাজারে কিছু মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বৃদ্ধি করে চলেছেন। অনতিবিলম্বে তিনি বাণিজ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। একইসঙ্গে তিনি ব্যর্থ সরকার ও বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলারও আহবান জানান।