নরসিংদীর শিবপুরে মাদক কারবারির টাকা লেনদেনের বিরোধে জোড়া খুন সংগঠিত হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রোববার ভোরে রায়পুরা থানার দৌলতকান্দি গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ১৭ কেজি গাঁজা ও দুইটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- রায়পুরা থানার হাসিমপুর কলাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত আবু সাঈদের ছেলে মো. উমেদ আলী (৩৫) ও সদর উপজেলার মাধবদী থানার নওয়াপাড়া ভগিরতপুর গ্রামের মৃত ফিরোজ মেম্বারের ছেলে মো. আকরাম হোসেন (৩৪)।
র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে শিবপুরের শ্রীফুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কের পাশ থেকে বস্তাবন্দি দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তারা হলেন- পলাশ উপজেলার খানেপুর গ্রামের রুবেল মিয়া (২৫) ও নরসিংদী সদর উপজেলার শাহেপ্রতাব এলাকার জাহিদ হোসেন রাজু (৩০)। তাদের পরিচয় শনাক্তের পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে নামে র্যাব।
বিভিন্ন সূত্র থেকে র্যাব নিশ্চিত হয় যে, রাজু, রুবেল ও শাহাজালাল তারা পেশায় গাড়িচালক। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে বুধবার রাতে রুবেল মিয়া শাহজালালকে ফোন করে মাধবদীতে একটি ট্রিপ থাকার কথা বলেন। পরে তারা শাহাজালালের বাসায় একত্রিত হন। এসময় শাহাজালালের বাসায় সোহেল, উমেদ, আকরামসহ তাদের বেশ কয়েকজন সহযোগী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মাদক বিক্রির অর্থের ভাগাভাগি নিয়ে রাজু ও রুবেলের সঙ্গে সোহেল, উমেদ, আকরামের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে উমেদ ও তার সহযোগীরা শ্বাসরোধ করে রুবেল ও রাজুকে হত্যা করে।
র্যাব কর্মকর্তা তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, অনুসন্ধানে জানা যায়, আসামিরা সিলেট থেকে মাদক এনে নরসিংদী ও এর আশপাশে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতো। মূলত মাদক কারবারির আধিপত্য ও টাকা লেনদেনের বিরোধে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গ্রেফতার উমেদ ও আকরামের বিরুদ্ধে মাধবদী, রায়পুরা ও ঢাকার বাড্ডা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।