বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। স্বাধীনতার পরে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রথম পোস্ট মাস্টার জেনারেল নিযুক্ত হয়েছিলেন। তার চলে যাওয়া শুধু বিএনপির জন্য নয়, পুরো জাতির জন্য ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মওদুদ আহমদের মরদেহ নিতে এসে এসব কথা জানান তিনি। ফখরুল বলেন, মওদুদ আহমদের চলে যাওয়া সমগ্র জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। মওদুদ আহমদ ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভাষা আন্দোলন করেছেন। এই সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেছেন। তিনি আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন।
প্রায় প্রতিটি সংসদে মওদুদ আহমদ ছিলেন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সংসদে তার ওপর অর্পিত প্রতিটি দায়িত্ব তিনি পালন করেছেন। আমি মনে করি, বাংলাদেশের এই সংকটময় মুহূর্তে ও গণতন্ত্রের সংকটকালে তার চলে যাওয়া দেশের জন্য, বিএনপির জন্য অত্যন্ত বড় ক্ষতি হয়েছে। তা কখনও পূরণ হওয়ার নয়। তার মতো মানুষ খুব কম আসেন। এরা সব সময় সমাজের প্রতি যে দায়বদ্ধতা, তা পালন করেন। যা আমরা কখনও অস্বীকার করতে পারি না।
মওদুদ আহমদকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে, কারাগারে যেতে হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তার বাড়িটা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৩২টি মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মওদুদ আহমদের মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিষয়টি নিশ্চিত করে দলটির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সন্ধ্যা ৬টায় মওদুদ আহমদের মরদেহ বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। এখান থেকে মরদেহ তার গুলশানের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর এভারকেয়ার হাসপাতালের হিমঘরে মরদেহ রাখা হবে।
জানা গেছে, বিমানবন্দর থেকে মওদুদ আহমদের মরদেহ গুলশানের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে মওদুদের মরদেহ বহনকারী গাড়িটি তার গুলশানের বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।