নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনে গঠিত ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ‘এক ঝাঁকের কই’ বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। গতকাল রবিবার নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এটাকে ‘সার্চ কমিটি’ না বলে বরং ‘আওয়ামী খাস কমিটি’ বলাটাই যুক্তিযুক্ত মনে করি। পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ পরিবার দ্বারা আরেকটি নীলনকশার ভোট ডাকাতির নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করতে নিখাদ আওয়ামী লীগের চেতনার মানুষদের অনুসন্ধান করাই এই সার্চ কমিটির অভীষ্ট লক্ষ্য। এরা আওয়ামী লীগের কে কোন পজিশনে ছিলেন এবং আছেন তা এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রিতে’ পরিণত হয়েছে। জনগণ ঘৃণাভরে আওয়ামী সার্চ কমিটির নামে এই খাস কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি আরো বলেন, এই সার্চ কমিটির সদস্য হয়েছেন সাবেক বহু বিতর্কিত নির্বাচন কমিশনার, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আরেক বিশেষজ্ঞ মো. ছহুল হোসাইন। তিনি ২০১৮ সালে সিলেট-১ (সিলেট সদর ও সিটি করপোরেশন) আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। সার্চ কমিটির আরেকজন সদস্য রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম হামিজ উদ্দিন সেখের পুত্র কুদ্দুস জামান। তার ভাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। আরেক সদস্য অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক আওয়ামী লীগের একান্ত অনুরাগী ও দৃঢ় সমর্থক প্রয়াত লেখক সৈয়দ শামসুল হকের স্ত্রী তিনি। তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধের পুরোটা সময় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর মেডিক্যাল সেন্টারে চাকরি করেছেন। সুতরাং এই সার্চ কমিটি অথবা নির্বাচন কমিশন নিয়ে দেশের জনগণ বা বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই। আমাদের দাবি, নির্দলীয় সরকার গঠনের পর সেই সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই কেবল সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।