সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতি করে ১৩তম নির্বাচন কমিশন গঠনে ৬ সদস্যের অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি করা হয়েছে। সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠক রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায় সুপ্রিমকোর্ট জাজেস লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠনে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন সূত্র জানায়, সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠক আজ বিকাল সাড়ে ৪টায় সুপ্রিমকোর্ট জাজেস লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে। আইনের বিধান মোতাবেক সভাপতিসহ প্রথম চারজন পদাধিকার বলে কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। বাকি দুজন রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনার পদের বিপরীতে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে সার্চ কমিটি। সেখান থেকে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি।
নির্বাচন কমিশন গঠনে এটি তৃতীয় সার্চ কমিটি। তবে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের পর প্রথম সার্চ কমিটি। এর আগে নির্বাচন কমিশন গঠনে ২০১২ ও ২০১৭ সালে সার্চ কমিটি হয়েছিল। দুবারই রাষ্ট্রপতির বিশেষ আদেশে সার্চ কমিটি গঠন হয়। এবার নতুন আইনের অধীনে সার্চ কমিটি হলেও গতবারের কাঠামোকেই অনুসরণ করা হয়েছে। কারণ আইনের বিধানে সেই কাঠামোই রয়েছে।
‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২’ অনুযায়ী, সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে উপযুক্তদের বাছাই করবে। ব্যক্তি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং পেশাজীবী সংগঠনের কাছ থেকেও নাম আহ্বান করতে পারবে।
সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ মোট পাঁচজনের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। আর নতুন আইনে বলা হয়েছে, প্রতি পদের বিপরীতে দুটি করে নাম প্রস্তাব করবে সার্চ কমিটি। সে হিসাবে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করা হবে। তাদের মধ্য থেকে অনধিক পাঁচজনকে সিইসি ও ইসি হিসাবে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পাঁচ সদস্যের কম ব্যক্তি নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনেও বাধা নেই। উল্লেখ্য, ১৪ ফেব্রুয়ারি কেএম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসি বিদায় নিচ্ছে।