ত্রিপুরা রাজ্যে নতুন আরও একটি সীমান্ত হাটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলক উন্মোচন করেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, ত্রিপুরার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এবং বাংলাদেশের সংসদ সদস্য মো. আব্দুস সহিদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেন, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে ভারত যেভাবে দাঁড়িয়েছিল তা কখনো ভোলার নয়। লাখ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিল ভারত। এর একটি বড় সংখ্যা ত্রিপুরায় আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার সম্পর্ককে আরও আত্মিক করে তুলেছে এই বাংলা ভাষা।
তিনি বলেন, এই সীমান্ত হাটসহ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ সম্পর্কের বিকাশে গৃহীত বিভিন্ন পরিকল্পনা শিল্প সম্ভাবনা উন্মেষের পাশাপাশি সম্পর্কও সুদৃঢ় করতে অগ্রণী ভূমিকা নেবে।
এ সময় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত হাটটি উদ্বোধন করা হলে এর ফলে দু-দেশের মধ্যে মৈত্রীর সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। ত্রিপুরায় ৮টি সীমান্ত হাটের জন্য প্রস্তাব রাখা হয়েছে। যার মধ্যে ২টি হাট চলছে বর্তমানে এবং ২টির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত বর্ডার হাটের অন্যটি হবে ধর্মনগরের রাঘনাতে। এই বর্ডার হাটগুলো দু-দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের পাশাপাশি আত্মিক সম্পর্ককেও সুদৃঢ় করবে।