ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাতটি কলেজের ৫ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে স্থায়ী ও ৯১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে অংশগ্রহণ করা পরীক্ষা বাতিল ও বিভিন্ন মেয়াদে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট৷
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২৮ ফেব্রুয়ারি নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের এক সভায় শৃঙ্খলা পরিষদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তের পর বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা গত সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট কলেজে পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, ঢাকা কলেজের সম্মান তৃতীয় বর্ষের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম (পরীক্ষা-২০১৮, রোল নং: ৩১১২০৬), সম্মান তৃতীয় বর্ষের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক (পরীক্ষা-২০১৮, রোল নং: ৩২৩৬৭১) সম্মান চতুর্থ বর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আরমান হোসেন (পরীক্ষা-২০১৮, রোল নং: ১০০১৩), সম্মান চতুর্থ বর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ তৌহিদুজ্জামান (পরীক্ষা-২০১৮,রোল নং: ১০০৭১), কবি নজরুল সরকারি কলেজের সম্মান চতুর্থ বর্ষের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মমিরুল পারভেজ (পরীক্ষা-২০১৮, রোল নং: ৬৫৫১৩)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী বলেন, বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজ এবং বিভাগে জানানো হয়েছে। তালিকা প্রকাশের পর থেকে তারা আর আমাদের ছাত্র নয়।
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা পেয়েছি৷ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কার হলে আমাদের কিছুই করার থাকে না। আমরাও চাই পরীক্ষায় সুষ্ঠু ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় থাকুক৷ এ রকম অপরাধ কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
উল্লেখ্য, অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হয়ে কোনো শিক্ষার্থী উপাচার্য বরাবর শাস্তি হ্রাসের আবেদন করলে উপাচার্য বিশেষ বিবেচনায় শাস্তি এক বছর হ্রাস করতে পারবেন।